Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

২ ছাত্রের মানবিকতায় বাঁচল এক প্রাণ

মহসিন রাজু : | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ২ ছাত্রের সচেতনতা ও দেশের জরুরী সেবা সার্ভিসের তরিৎ পদক্ষেপ, পুলিশ ও চিকিৎসা বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সবার আন্তরিকতায় রক্ষা পেয়েছে ঝোপে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকের প্রাণ।
গতকাল বৃহষ্পতিবার বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার সকালে ঝোপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সরকারি আজিজুল হক কলেজের ইংরেজী বিভাগের ছাত্র শামীম রেজা ও এমবিএর আব্দুল্লাহ নবজাতকের কান্নার আওয়াজ পেয়ে থমকে দাঁড়ায়। কাছে যেয়ে দেখে সদ্যজাত এক কন্যা শিশু পরিত্যক্ত অবস্থায় হাত পা ছুড়ে কাঁদছে। দেখে দুই ছাত্রের মানবিক চেতনা ও কর্তব্য বোধ জেগে ওঠে। তারা দেশের জরুরী সেবা সার্ভিস ৯৯৯ এ ফোন করে। ১০ মিনিটের মধ্যেই পাশ্ববর্তী স্টেডিয়াম ফাঁড়ির পুলিশ হাজির হয়।
এরপর পুলিশ দ্রæত শিশুটিকে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দিলে সেখানকার চিকিৎসা সেবায় শিশুটির জীবন রক্ষা পায়। শিশুটি যথা সময়ে উদ্ধার ও উদ্ধার পরবর্তী সঠিক চিকিৎসার পর নবজাতকের অবস্থা এখন পুরোপরি নিরাপদ বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নাসরিন নাহার স্বপ্না।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে এই রিপোর্ট লেখার সময় শিশুটিকে নিরাপদ বলে জানায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। পুলিশ শিশুটির প্রাধমিক পরিচর্যার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনেই থেমে থাকেনি। তারা স্টেডিয়াম ফাঁড়িতে রান্নার দায়িত্বে নিয়োজিত পারভীন নামক মহিলাকে শিশুটির সার্বিক দেখভাল করার অতিরিক্তি দায়িত্ব দিয়েছে। এভাবেই পিতৃমাতৃ পরিচয়হীন এক নবজাতক কন্যা শিশুর জীবন রক্ষায় নীরবে রচিত হয়েছে একটি মানবিক গল্প, যা আসলে গল্পের চাইতে কম রোমাঞ্চকর নয় !

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রাণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ