পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যাংকের ঋণের চক্রবৃদ্ধি সুদের ভারে দেশের শিল্প কারাখানার চিরে চ্যাপ্টা অবস্থা। শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, ব্যবসায় বিনিয়োগ, নতুন ব্যবসা শুরু, কৃষিঋণ, এসএমই ঋণসহ ব্যাংক ঋণ নিলেই শুরু হয়ে যায় সুদের খড়গ। ঋণের সুদ প্রতিমাসে বাড়তেই থাকে চক্রাকারে। এমনিতেই পৃথিবীর যে কেনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ব্যাংক ঋণে সুদের হার বেশি; কোটি টাকা ঋণ নিলেই বছর ঘুরতেই সুদ দিতে হয় কয়েক লাখ টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ব্যবস্থা মন্দা হলেও সর্বনাশ। শিল্পমালিক ও ব্যবসায়ীকে পথে বসতে হয়। অথচ ব্যাংকের সুদের খাতায় চক্রবৃদ্ধি হাড়ে বাড়তেই থাকে। সেই চক্রবৃদ্ধি সুদের লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ব্যাংক ঋণে চক্রবৃদ্ধি সুদের লাগাম টেনে ধরতে আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদে বড় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছেন। নতুন অর্থবছর থেকে ব্যাংক ঋণে আর চক্রবৃদ্ধি সুদ হার থাকবে না। নতুন অর্থবছর থেকে সব ধরনের ঋণের সুদ হিসাব তিন মাস ভিত্তিতে নয়; হিসাব হবে বছরভিত্তিক। অর্থমন্ত্রীর এই উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা দারুণ খুশি। তাদের মতে, এতে দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে।
জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এটা হবে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। দীর্ঘদিন পর একটি ভালো উদ্যোগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঋণের বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে এ বৈষম্য হতো না। এত ব্যাংক থাকার পরও যেহেতু প্রতিযোগিতা গড়ে ওঠেনি সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে দেয়া উচিত।
বাংলাদেশের মত বিশে^র কোন দেশে ঋণের সুদের হার নিয়ে বিতর্ক নেই। চক্রবৃদ্ধি সুদের জালে আটকে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। নিজের সকল পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা প্রসারে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন-এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
ব্যাংক ঋণের অন্যতম ব্যবহারকারী উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরেই চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের পদ্ধতি বাতিল করে সরল হারে সুদ আরোপ পদ্ধতি চালু করার দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু বিষয়টিতে ছিলো না কারো নজর। তবে আশার কথা, আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদ হিসাবে বড় পরিবর্তন আসছে। চক্রবৃদ্ধি সুদ হার থাকছে না। নতুন অর্থবছর থেকে সরল সুদ হিসাব করা হবে। তাই সামনে সব ধরনের ঋণের সুদ হিসাব তিন মাস ভিত্তিতে নয়; হিসাব হবে বছরভিত্তিক। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত সোমবার রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পরিষদের সাথে মতবিনিময় শেষে বলেছেন, আগামীতে ব্যাংকি খাতে কোনো চক্রবৃদ্ধি সুদ থাকবে না। সব কিছু সরল সুদে হিসাব করা হবে। চক্রবৃদ্ধি সুদের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহাযোগিতা করা হবে। তাদেরকে আবার ব্যবসার সুযোগ দেয়া হবে। অর্থমন্ত্রীর যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীসহ সকল মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থমন্ত্রী দীর্ঘদিন পর ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো একটি উদ্যোগ নিলেন। আমি সরল সুদের বিষয়টি প্রথম শুনলাম। এ সিদ্ধান্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে প্রসারিত করতে সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করেন। তবে অর্থমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তে ব্যাংকগুলো কিছুুটা নাখোশ হয়েছে, কারণ আগামী বছর থেকে তাদের চক্রবৃদ্ধি হারে যে লাভ হতো তা কমে আসবে।
দেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর একটি ভালো উদ্যোগ। আমি অর্থমন্ত্রীর এ চিন্তাকে স্বাগত জানাই। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়লে ব্যাংককে টাকা দেয় না। এটা ইচ্ছা করে নয়; তবে যারা ইচ্ছা করে টাকা দেয় না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং যারা সময়মতো ব্যাংককে টাকা দেয় তাদেরকে প্রনোদনা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে ঋণ দেওয়ার সময় যাচাই-বাছাই করে কর্মকর্তাদের ঋণ দেওয়ার আহবান জানান বিজিএমইএ’র সভাপতি।
ব্যবসা সহজ করার স্বার্থে অর্থমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি ইককিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সুদের হার ৯/৬ সিদ্ধান্ত আমরা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করেছি। এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। একইভাবে আসন্ন অর্থবছর থেকে সরল সুদ হিসাব বাস্তবায়নেও প্রভাব পড়বে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে ঋণে সরল হারে সুদ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র মতে, আসন্ন বাজেটে ঋণের সুদ হিসাবে পরিবর্তনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নির্দেশে সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ঋণের ওপর সুদ আরোপ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটি সুদ আরোপের দেশি-বিদেশি পদ্ধতি পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, সব ধরনের ঋণের সুদ হিসাব ছয় মাস ভিত্তিতে হওয়া যুক্তিযুক্ত। তিন মাস ভিত্তিতে নয়। একই সঙ্গে ঋণের বিপরীতে চক্রবৃদ্ধি হারে (সুদের ওপর সুদ আরোপ) সুদ আরোপ পদ্ধতি বাদ দিয়ে সরল হারে (সুদের ওপর সুদ আরোপ নয়) সুদ আরোপের পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে। এতে সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ঋণের সুদের হার কিছুটা হলেও কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে ব্যাংক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঋণের সুদ বছর ভিত্তিতেই হিসাব করার নিয়ম। গ্রাহকদের সঙ্গে এভাবেই কথা হয়। কিন্ত বাস্তবে সেটি মানা হয় না। কেননা, যে কোনো সুদের হার নির্ধারিত হয় বছরভিত্তিক সময়কাল ধরে। সেখানে এর আগে কোনো হিসাব বের করা হলে ঋণগ্রহীতারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নানা রকম ফাঁকফোকর ও সরল সুদের পরিবর্তে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের ফাঁদ পাতা হয়। বাস্তবে হচ্ছেও তাই। তারা মনে করেন, বিলম্বে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ব্যাংক ঋণের অন্যতম ব্যবহারকারী উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরেই চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের পদ্ধতি বাতিল করে সরল হারে সুদ আরোপ পদ্ধতি চালু করার দাবি করে আসছেন।
বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, নতুন পদ্ধতি চালু হলে ঋণের সুদহার কমবে। এতে কমে যাবে ঋণের খরচ, কমবে ব্যবসা খরচও। ফলে পণ্যের দাম কমবে, এতে ভোক্তারা লাভবান হবেন। রফতানির ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়বে। মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ কমবে। সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঋণের সুদ বছর ভিত্তিতেই হিসাব করার নিয়ম। গ্রাহকদের সঙ্গে এভাবেই কথা হয়। কিন্ত প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তা একেক ব্যাংক একেক ভাবে করে। যে কারণে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ঋণের বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে এ বৈষম্য হতো না। এত ব্যাংক থাকার পরও যেহেতু প্রতিযোগিতা গড়ে ওঠেনি সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে দেয়া উচিত।
জানা গেছে, বর্তমানে বাণিজ্যিকগুলো ঋণের সুদ হিসাব করে তিন মাস পরপর। এই সুদ পরিশোধ করা না হলে মূল ঋণের সঙ্গে যোগ করে। এতে মূল ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এর ওপর আবার সুদ আরোপ করে। এ প্রক্রিয়ায় ঋণের সুদহার এক থেকে দেড় শতাংশ বেড়ে যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাচ্ছে-তিন মাস পরপর সুদ আরোপ না করে ছয় মাস পরপর ঋণের সুদ হিসাব করার প্রক্রিয়া চালু করতে। অর্থাৎ ছয় মাস পরপর ঋণের সুদ হিসাব করে এটি গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে। তবে এই সুদ কখনোই মূল ঋণের সঙ্গে যোগ করার ক্ষেত্রে সায় নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
ঋণের সুদ হিসাবের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি চালু করতে গেলে কোনো সমস্যা হবে কিনা, বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ব্যাংক ঋণের সুদ কীভাবে হিসাব করা হয় সে বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক একেএম আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে একই বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা রয়েছেন। কমিটি ঋণের সুদ হিসাবের ব্যাপারে একটি গ্রহণযোগ্য পথ খুঁজে বের করার জন্য কাজ করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর জন্য বহুমুখী পথ রয়েছে। সব কটি পথই কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যালোচনা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমানতের ওপর আরোপিত সুদের মতো করে ঋণের ওপর আরোপিত সুদের হিসাব করার বিষয়টি ভাবতে হবে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলো আমানতের ওপর ছয় মাস পরপর সুদ আরোপ করে। কিন্ত ঋণের ওপর করে তিন মাস পরপর। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমানতের মতো ঋণের ওপরও ছয় মাস পরপর সুদ আরোপের পদ্ধতি চালু করতে চায়।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, ঋণের সুদ হিসাবের ক্ষেত্রে নানা ধরনের শুভংকরের ফাঁকির বিষয় খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেগুলো শনাক্ত করে কার্যকর উদ্যোগ নিলে সুদের হার দেড় থেকে আড়াই শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।
এ ছাড়াও ওই কমিটিকে ঋণের ওপর আরোপিত চক্রবৃদ্ধি সুদ ত্রৈমাসিকের পরিবর্তে ছয় মাস পরপর হিসাব করার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত বাধা আছে কিনা, তাও পরীক্ষা করে দেখার জন্য গভর্নর ফজলে কবির পরার্মর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে কী ধরনের চক্রবৃদ্ধি বা সরল সুদহার ব্যবহৃত হচ্ছে, তাও পরীক্ষা করে দেখার জন্য বলা হয়েছে। এর বাইরেও ওই কমিটি ঋণের বিভিন্ন বিষয় সহজ ও দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম প্রকাশে একটি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন অর্থবছর থেকে সরল সুদ বাস্তবায়নের অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে একমাত্র বাধা ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলো চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের পক্ষে। কারণ এতে তাদের লাভ বেশি।
আর তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের ওপর সরল হারে সুদ আরোপের পক্ষে অবস্থান নিলেও ব্যাংকগুলো চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপের পক্ষে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিদর্শনের সময় বিতর্ক দেখা দেয়। এ ধরনের ঘটনা ধরা পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা বাড়তি সুদ ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে। এর বেশি কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় না। ফলে ব্যাংকাররাও গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি সুদ আদায় থেকে বিরত থাকে না।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদ বখত বলেন, সুদ আদায় পদ্ধতিতে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলে ব্যাংকগুলো সেটা মেনে চলবে। নীতিমালা না থাকায় বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন হিসাব পদ্ধতি ব্যবহার করে সুদ আদায় করে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ক্ষেত্রে নীতিমালা করার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি খুবই ভালো। এর ফলে এ খাতে একটি দিকনির্দেশনা আসবে।
নতুন পদ্ধতি চালু হলে ঋণের খরচ কমার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমবে। ফলে দাম কমবে পণ্যের, যার ফলে লাভবান হবেন ভোক্তারাও। এতে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উল্লেখিত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।