পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মাসেতুতে গাড়ি চলাচলের জন্য রোডওয়ে স্লাব বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। শরীয়তপুরের জাজিরায় ৪২ ও ৪১ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী ৭এফ স্প্যানে বসানো হয়েছে প্রথম স্লাবটি (স্লাব আইডি ৭এফ-ইউ ৩৩)।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় স্প্যানে একটি স্লাব বসানো হয়। এর মাধ্যমেই পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে। এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদ্মাসেতুতে রেলওয়ের স্লাব বসানোর কাজ শুরু হয়।
দুই মিটার প্রস্থ ও প্রায় ২২ মিটার দৈর্ঘ্যরে রোডওয়ে স্লাবগুলো স্প্যানে বসানো হচ্ছে। জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে প্রস্তুত করে রাখা আছে ৫শ’টি স্লাব। পুরো পদ্মাসেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি স্লাব বসানো হবে। প্রকৌশলীরা জানান, এসব স্লাব মূলত প্রি-কাস্ট স্লাব। স্প্যানে বসানোর পর এগুলো টেনশনিং করা হবে। রডের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত টেনশনিং করে আটকে দেওয়া হবে। যাতে কোনো নড়াচড়ার সম্ভাবনা না থাকে ভবিষ্যতে। স্লাব বসনোর আরো কয়েকটি ধাপের কাজ শেষে সেতু গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত হবে। আজ জাজিরায় প্রথম রোডওয়েতে স্লাব বসানোর কাজ শুরু হয়। সকালে একটি স্লাব কোনো সমস্যা ছাড়াই বসানো সম্ভব হয়েছে। কাল থেকে বাকি স্লাব বসানো হবে স্প্যানগুলোতে। একটি স্প্যানে ৭৪টির মতো রোডওয়ে স্লাব বসানো হবে। স্লাব বহনকারী ক্রেনটিকে নির্ধারিত স্থানে সুবিধাজনক উচ্চতায় রেখে স্লাবটি বসানো হয়।
জানা যায়, মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। স্প্যান বসানো হয়েছে ৮টি, বাকি আছে ৩৩টি।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২ পিলারে সাতটি স্প্যান ও মাওয়া প্রান্তে ৫ ও ৬ নম্বর পিলারে একটি অস্থায়ী স্প্যান বসানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।