পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে ৭ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২৩ জন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার ৯ কিলোমিটার এলাকায় এই ব্রাশফায়ারের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন-উপজেলার কিশলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পোলিং অফিসার আমির হোসেন, আনসার ও ভিডিপির সদস্য আলামিন, মিহির কান্তি দত্ত, জাহানারা বেগম ও বিলকিস। রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির সাতজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বাঘাইছড়ি থানার ওসি আবদুল মনজুর দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে গাড়িতে ফেরার পথে বাঘাইছড়ির ৯ কিলো নামক স্থানে দর্বৃত্তের গুলিতে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের মধ্যে কয়েকজনকে চট্টগ্রামে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় ভোট গ্রহণ শেষে ব্যালটবাক্স নিয়ে ফেরার পথে উপজেলার নয় মাইল এলাকায় দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়কে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন আনসার সদস্য ও একজন পোলিং অফিসার নিহত হন। আহত হন আরো ২৩ জন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। পরে আরো দু’জন মারা যায়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদিম সারওয়ার জানান, উপজেলার কংলাক, মাচালং ও বাঘাইহাটে উপজেলা পরিষদে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় একসঙ্গে উপজেলা সদরে ফিরছিলেন নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা নয় মাইল এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর ব্রাশ ফায়ার করে। এতে অন্তত ৭ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এর আগে রাতে ভোট গ্রহণ ও দিনে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী হতে না দেয়ার অভিযোগ এনে বাঘাইছড়ি উপজেলায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-সন্তু লারমা) চেয়ারম্যান প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা ও তিন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। সকাল ৮টায় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টা পরেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তাঁরা। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দুটি অংশের প্রভাবশালী দুই নেতা বড়ঋষি চাকমা ও সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা মুখোমুখি হয়েছিলেন এবারের চেয়ারম্যান পদে।
নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, রাস্তার পাশে উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে স্বয়ংক্রিয় ভারী অস্ত্র দিয়ে ব্রাশ ফায়ার করেছে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় গাড়িতে থাকা লোকজনের প্রায় সকলেই গুলিবিদ্ধ হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থার বিরাজ করছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে। চলছে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান। তবে কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ জানাতে পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।