পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে না যাওয়ায় বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে সরকার ও আওয়ামী লীগে। সরাসরি সরকারের এমপি-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা বিষয়টি নিয়ে কথা না বললেও কিভাবে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানো যায় তা নিয়ে রীতিমত চলছে গবেষণা। উপজেলা নির্বাচনের আগামী তিন ধাপে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে সরকার নতুন উদ্যোগ নিতে পারে। এ নিয়ে আজ অথবা আগামীকাল সরকারের নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, ভোটারদের উপস্থিতি বা ভোট দেয়ার অনাগ্রহের কারণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন থেকে পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও কেন ভোট দিতে যাচ্ছেন না। আগামীতে কি করলে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বা এ ধরণের পরিস্থিতির উত্তোরণ ঘটবে তা নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ। আজ অথবা আগামীকাল সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ভোটার সংকট উত্তোরণে করনীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে।
ইতোমধ্যে নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ ও উপস্থিতি বাড়াতে সরকারের তরফ থেকে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে তেমন একটা সুফল আসেনি। প্রত্যেক এলাকায় পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে সভা, সেমিনার ও মাইকিং করে সুষ্ঠু নির্বাচন, জাল ভোট ও সহিংসতা না হওয়া, আগের দিন ভোট না হওয়ার বিষয়ে ভোটারদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, যদি কোন জাল ভোট বা সহিংসতার ঘটনা ঘটে তাহলে পুলিশ গুলি চালাবে তবুও নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে। ভোটারদের কোন ভয় নেই, কোন শঙ্কা নেই। কিন্তু এরপরও ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব মতে, প্রথম ধাপের নির্বাচনে মাত্র ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র উপ-নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩১.০৫ শতাংশ। এই সংখ্যার সঠিকতা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
গতকাল দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে দেখা গেছে, ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন অফিসাররা বাদাম খেয়ে ভোটারদের অপেক্ষায় সময় পার করছেন। প্রার্থীদের পোলিং অজেন্টারা ঘুমিয়ে সময় পার করেছেন। নিরাপত্তাকর্মীরা ঘুমিয়ে ও দোলনায় দোল খেয়ে সময় পার করছেন। সাংবাদিকরাও ভোটারদের জন্য কেন্দ্রে অপেক্ষায় বসেছিলেন কিন্তু ভোটারদের দেখা পাননি। নিজ এলাকার ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যেতে না পারায় বিগত নির্বাচনে নিশ্চিত জয়েও অনেকে ফেল করেছেন। প্রার্থীরা নানাভাবে ভোটারদের আশ্বস্ত করেও কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেননি।
এমনাবস্থায় নতুন করণীয় ঠিক করার জন্য চিন্তিত সরকার। এই সংকট কাটিয়ে উত্তোরণের পথ খুঁজছে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা। এ নিয়ে শীঘ্রই একটি বৈঠকের আয়োজন করা হতে পারে। যা আজ বা আগামীকাল হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকতা ইনকিলাবকে বলেন, পুলিশের আশ্বাসে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে না। তাই সরকারের তরফ থেকে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কি উদ্যোগ তা এখনো জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকতা বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত আসবে। সিদ্ধান্ত এলেও মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে গতকাল নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, উপজেলা নির্বাচনের জৌলুস নেই। একতরফা নির্বাচনের কারণে ভোটাররাও কেউ ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী নয়। এহেন নির্বাচনবিমুখতা গণতন্ত্রবিমুখতায় পর্যবসিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।
এর আগে ১৩ মার্চ সিলেটে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা কত শতাংশ ভোট হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন, এর কোনো মাপকাঠি নেই। সবচেয়ে বেশি ভোট যিনি পাবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন। কত ভোট পড়ল তা কমিশনের দেখার বিষয় না। এ নিয়ে ইসির কিছু করার নেই। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।