পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
Water water everywhere
Not a drop to drink
অর্থ হলো, চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। কিন্তু এক ফোটা খাবার পানি নাই। এই পানিকে বোঝানো হচ্ছে সমুদ্র। সমুদ্র অতলান্ত, চারিদিকে থৈ থৈ নীল জলরাশি। কিন্তু পান করার মতো এক ফোটা পানিও নাই। কবিতার এই দুই লাইন মনে পড়লো বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা দেখে। যারা আমার কলাম বহুদিন থেকে পড়েন, তারা জানেন, আগে আমি লিখতাম, কী নিয়ে লিখবো? চারিদিকে এত টপিক, কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখবো? কিন্তু এখন হয়েছে উল্টো। এখনো চারিদিকে রয়েছে অনেক টপিক। কিন্তু কোনটা লিখবো? যেটিই লিখতে চাই, সেটিই লিখতে গিয়ে গা ছম ছম করে। মনে হয় কোনটা লিখে আবার কোন বিপদে পড়ি। এ যেন হাজমের ক খ গ ডাক্তারি শেখার মতো। আপনারা জানেন, আগে গ্রামে ছেলেদের মুসলমানি করাতো হাজম। অনেক আগে তারা এই মুসলমানি করাতো বাঁশের চলটা দিয়ে, যেটি খুব ধারালো হতো। তার পর এলো খুর। খুর দিয়ে চামড়া কাটা হতো। তারপর ছাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করা হতো। গ্রামেগঞ্জে তখনও এন্টিসেফটিক ওষুধের চল হয়নি।
একদিন এক গ্রামে একজন ডাক্তার এলেন। তিনি এল এম এফ পাশ। গ্রামে যত মুসলমানি হয় সকলে ঐ হাজমকে ডাকে। ডাক্তার সাহেবের কোনো কদর নাই। তাহলে কি করা যায়? ডাক্তার সাহেব এক ফন্দি আঁটেন। তিনি হাজমকে কিছু ডাক্তারি বিদ্যা শিক্ষা দেন। বিশেষ করে ইনফেকশন সম্পর্কে জ্ঞান দান করেন। কোথায় কাটলে কি ইনফেকশন হতে পারে, ওষুধ না দিলে জায়গাটিতে ঘা হতে পারে এবং পরে পচে যেতে পারে, ছাইয়ের সাথে ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণু থাকতে পারে, এসব বিষয়ে ডাক্তার তাকে তালিম দেন। এর পর হাজম বেচারা পড়ে বিপদে। সে খুর দিয়ে যেখানেই কাটা ছেঁড়া করতে যায় সেখানেই তার খটকা লাগে, যদি এখানে ইনফেকশন হয়? এভাবে প্রতিমুহূর্তে দ্বিধাদ্ব›েদ্ব পড়ে সে আর কোথাও কাটা ছেড়া করতে পারে না। এটি করতে করতে তার পসার বা ব্যবসা লাটে ওঠে। আর এই সুযোগে ডাক্তার সাহেব চুটিয়ে দু পয়সা কামাই করেন।
এখন আমাদের হয়েছে সেই দশা। বাংলাদেশ বিমানের স্লোগান হলো, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। কোন বিষয়ে লিখবো। রাজনৈতিক বিষয় লিখতে গেলে মনে হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। অন্য বিষয় লিখতে গেলে মনে হয় সাইবার ক্রাইম আইন। আরও অন্য কিছু লিখতে গেলে মনে হয় বড় কর্তাদের মানহানির মামলা। কোনটা লিখতে গিয়ে কোন মামলা খাই এবং লাল দালানে স্থান হয়। এসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে সিরিয়াস কোনো টপিকই আর লেখা হয় না। সুতরাং আমাদের লেখার পরিসর বা পরিধিও ছোট হয়ে আসছে বা সীমিত হয়ে আসছে।
আবার অন্য দিকও আছে। সেটি হলো পাঠকের দিক। সব সময় নিরেট ও চরম সত্য কথা লিখলে পাঠক হতাশ হয়ে যেতে পারেন। আমাদেরকে বলা হয় যে, পাঠক হতাশ হয়, এমন কিছু না লেখাই ভালো। ভেবেছিলাম ডাকসু ইলেকশনের ওপরে লিখবো। কিন্তু আজ অর্থাৎ রবিবারের কাগজে একটি চা চক্রের খবর এবং ছবি প্রকাশিত হয়েছে। খবরটি পড়লে এবং ছবিটি দেখলে ধারণা করা যায় যে, ডাকসু কোন পথে চলেছে। আরও ধারণা করা যায়, নব নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরু কোন পথে চলেছেন। কিন্তু এসম্পর্কে আমাদের প্রাথমিক ধারণা এই মুহূর্তেই প্রকাশ করা ঠিক হবে না। আমাদেরকে আর কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে যে পানির স্রোত কোন দিকে গড়ায়। এসব কথা বিবেচনা করে ডাকসু এবং হল ইউনিয়নসমূহের নির্বাচনের ব্যাপারে খোলামেলা কিছু লেখা সমীচীন হবে বলে মনে হয় না। তারপরেও তো দুটি কথা বলতেই হয়।
সেটি ঐ চা চক্র নিয়ে নয়, বরং ডাকসুর অভিষেক অনুষ্ঠান নিয়ে কথা। এখানে বলে রাখা ভালো যে, নুরু বলেছেন, যারা ভোট দিয়েছেন তারা চাইলে ভিপি হিসাবে আমি শপথ নেবো, আর না চাইলে শপথ নেবো না। এখানে ছোট্ট একটি সংশোধনীর প্রয়োজন আছে। ডাকসুর কোনো কর্মকর্তা মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট, স্পিকার, এমপি, উপজেলা ও পৌরসভার নির্বাচিত কর্মকর্তাদের মতো শপথ নেন না। তাদের হয় অভিষেক অনুষ্ঠান। অভিষেক অনুষ্ঠান হয়ে গেলে ডাকসু বা হল ইউনিয়নের কর্মকর্তারা নিজ নিজ পদে বহাল হলেন বলে ধরে নেওয়া হয়।
দুই
১৬ মার্চ শনিবারের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের অবস্থা কী হলো? রোকেয়া হলে যে ৪/৫ জন ছাত্রী অনশন করেছিলেন তারা অনশন ভেঙেছেন। রাজু ভাস্কর্যের সামনে যে ৫/৬ জন ছাত্র নির্বাচন বাতিল, পুননির্বাচন অনুষ্ঠান এবং রোকেয়া হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে অনশন করেছিলেন তারা আশ্বাস পেয়ে অনশন প্রত্যাহার করেছেন। তারা কী আশ্বাস পেয়েছেন, কারা তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন সেসব কিছুই তারা বলেননি। ঐ দিকে প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের দাওয়াতের কথা শুনে নুরু বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াত পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার। তারপরেই মনে হয়, তিনি কিছু প্রশ্নের সন্মুখীন হয়েছিলেন। তাই পরক্ষণেই কথাটি একটু ঘুরিয়ে তিনি বলেন, যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন এবং যারা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে আমি চা এর দাওয়াতে যাবো না। তারা যদি বলেন যাও তাহলে যাবো। আর যদি বলেন যেও না, তাহলে যাবো না। এখন তাদের ভোটাররা এবং আন্দোলনরত অন্যান্য সহযোগী সংগঠন নুরুকে দাওয়াতে যেতে বলেছেন কিনা, অথবা যেতে বারণ করেছেন কিনা সে সম্পর্কে নুরু কিছ্ ুবলেননি। শুধুমাত্র খবরে দেখা গেলো যে, অন্যসব প্রতিনিধিরা ভার্সিটির ৭টি বাস বোঝাই হয়ে গেলেন এবং নুরু ও তার সমাজ কল্যাণ সম্পাদক একটি উবারে করে গণভবনে যান।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী যথারীতি বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কথা বলেন। নুরু বলেন, ছোট বেলা তিনি তার মাকে হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে তিনি তার মায়ের ছায়া পেয়েছেন। ডাকসুর কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে তার আশীর্বাদ কামনা করেন।
এই হলো এবারের ডাকসু কাহিনী। তবে এখানে ছোট্ট দুই একটি প্রশ্ন এসে যায়। যে রেজাল্ট শিটের ভিত্তিতে নুরুকে ভিপি ঘোষণা করা হয়েছে সেই একই রেজাল্ট শিটের ভিত্তিতে জিএস এবং এজিএস সহ ছাত্রলীগের ২৩ জনকে ডাকসু প্রতিনিধি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন নুরু যদি ভিপি হিসাবে দায়িত্ব নেন তাহলে ঐ পুরো রেজাল্ট শিটই জাস্টিফাইড হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ১৮টি হলের রেজাল্ট শিটও জাস্টিফাইড হয়ে যায়। অথচ যত সংগ্রাম সেটি তো ঐ রেজাল্ট শিটের বিরুদ্ধেই। ১১ তারিখে যে নির্বাচন হয়ে গেল সেই নির্বাচনকে এক মাত্র ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ ছাড়া দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকলে ভুয়া এবং জালিয়াতির নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করেছেন। সেই জালিয়াতির নির্বাচনের ভিত্তিতেই হল এবং ডাকসুর রেজাল্ট শিট তৈরি করা হয়েছে। এখন নুরু যদি ভিপির দায়িত্ব নেন তাহলে ঐ ভুয়া নির্বাচনও জাস্টিফাইড হয়ে যায়।
এখন নুরু কী করবেন? মনে হচ্ছে তিনি দায়িত্ব নেবেন। তারপর? হেমন্ত মুখার্জির গানের ভাষায়, ‘তার আর পর নাই/ নেই কোনো ঠিকানা।’
তিন
ডাকসু নিয়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে ৫০ জন মুসলমানকে যেভাবে একজন শে^তাঙ্গ খ্রিস্টান নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করলো সেব্যাপারে দুটো কথা। তবে অন্যেরা যেভাবে লিখছেন আমি সেভাবে লিখবো না। আমার বক্তব্য খুব পরিষ্কার। যারা বলছেন যে, এটি হলো সন্ত্রাস বা বর্ণবাদ আমি তাদের সাথে একমত নই। আমার মতে, এটি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় মুসলমানদেরকে খ্রিস্টান বন্দুকধারীর হত্যাকান্ড। তাই ঐ ঘাতক নরহত্যার জন্য বেছে নিয়েছিলো দুইটি মসজিদ। যখন সে গুলি চালায় তখন নামাজীরা সেজদায়রত ছিলেন। মসজিদে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বর্ণের মানুষ নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোন পরিচয়ে তারা নামাজ পড়ছিলেন? সেটি হলো মুসলমান পরিচয়। সুতরাং আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই যে, এটি হলো ঠান্ডা মাথায় অর্ধ শত মুসলমানকে খুন করা।
অতীতেও আমরা দেখেছি, যেখানেই কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে সেখানে ভিক্টিম যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হয় এবং হামলাকারী যদি মুসলমান হয় তাহলে সাথে সাথেই মিডিয়া এবং শাসকবর্গ তারস্বরে চিৎকার করে বলেছেন, এটি একটি ইসলামী জঙ্গি হামলা। যারা হামলা করেছে তারা ইসলামী টেরোরিস্ট বা ইসলামী জঙ্গি। এখন নিউজিল্যান্ডের ঘটনায় যে ব্যক্তি হামলা করেছে এবং হত্যা করেছে সে খ্রিস্টান। এখন যদি বলা হয় যে, খ্রিস্টান জঙ্গিরা মুসলামানদের ওপর হামলা করেছে তাহলে ভুল কিছু বলা হবে না।
হামলার আগে ব্রেন্টন ট্যারান্ট ৭৩ পৃষ্ঠার একটি ইশতেহার প্রকাশ করে। ঐ ইশতেহারে বলা হয় যে, শ্বেতাঙ্গদের ভূমি কখনোই ইমিগ্র্যান্টদেরকে দখল করতে দেওয়া হবে না। যাদেরকে তাদের ভূখন্ড দখলকারী হিসাবে ব্রেন্টন ট্যারান্ট বর্ণনা করেছে এবং তাদেরকে হটাবার জন্য সে এই হত্যা কান্ডের আশ্রয় নিয়েছে সেই বহিরাগতরা যে মুসলমান সেটি তার পয়েন্টওয়ারি ইশতেহারে পরিষ্কার হয়েছে। ইশতেহারের ১ ও ২ নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ইউরোপীয় ভূখন্ডে অনুপ্রবেশকারীদের ফলে হাজার হাজার মানুষের ক্ষতি হয়েছে এই হামলা সেই ক্ষতির প্রতিশোধ নিতে। অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ফলে লক্ষ লক্ষ ইউরোপবাসী কাজ হারিয়েছে। এই হামলা সেই কাজ হারানোর প্রতিশোধ নিতে।
১১ নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে , তুরস্ক বাদে ন্যাটোভুক্ত অন্য দেশগুলোর মাধ্যমে সম্মিলিত ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠন করে তুরস্ককে আরো একবার বিদেশি শত্রুপক্ষ হিসেবে তার সত্যিকারের অবস্থান ফিরিয়ে দেওয়াও এই হামলার উদ্দেশ্য। যারা কথায় কথায় ইসলামী জঙ্গি হামলার জিগির তোলেন এবং মৌলবাদের নাম করে ইসলামকে আক্রমণ করেন তারা আজ ব্রেন্টন ট্যারান্টের এই নৃশংস হত্যাকান্ডে যতখানি উচ্চকিত হওয়া উচিত ছিল ততখানি উচ্চকিত নন।
খ্রিস্টান এবং পশ্চিমা জঙ্গিদের প্রতি পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠির যে সহজাত টান রয়েছে তার প্রমাণ মেলে আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির বেলায়। তখন আলকায়দা, তালেবান প্রভৃতি সংগঠনকে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠি ইসলামী জঙ্গি বলে হইচই ফেলে দিয়েছিল, কিন্তু আইরিশ সন্ত্রাসীদেরকে তারা কোনো দিন খ্রিস্টান সন্ত্রাসী বলেনি। অথচ সারাবিশ্ব জানে, আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি স্বাধীনতা যুদ্ধের নামে আয়ারল্যান্ডের সর্বত্র জঙ্গি হামলা চালাচ্ছিলো।
চার
এই রকম হামলার বহিপ্রকাশ ঘটছে পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রে, যেখানে মুসলমানরা পদানত হয়ে আছে। কাশ্মীর, ফিলিস্তিন প্রভৃতি তারই অংশ। আজ আফগানিস্তান বা কাশ্মীরে কিছু ঘটলে সেটিকে বলা হয় জঙ্গি হামলা এবং জঙ্গি হামলার উসিলায় মুসলমানদের ওপর ভারতীয় বা ইহুদি সৈন্যরা বর্বর জুলুম চালায়। কিন্তু ফিলিস্তিন বা কাশ্মীরে যা হচ্ছে সেটি তো মুসলমানদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। এখন মুসলমানদের স্বাধীনতা সংগ্রাম পশ্চিমাদের চোখে হয়ে গেছে সন্ত্রাসবাদ। আর সে সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে শুরু হয়েছে War on Terror অর্থাৎ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
এব্যাপারে মুসলিম রাষ্ট্রদের বিশেষ করে ওআইসির ভূমিকা অবশ্যই আছে। সেটি হতে হবে সক্রিয়। যে কাশ্মীরে দু’ দিন আগে পাকিস্তানের ওপর হামলা চালানো হলো সেখানেও একই প্রশ্ন। কেন কাশ্মীরীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালায় তার রুট কজ খুঁজে বের করতে হবে। ওআইসি যদি সক্রিয় না হয় এবং আগ্রাসনবাদীদের পাল্টা হুমকি না দেয় তাহলে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা শুধুমাত্র খ্রিস্টান নয়, সমস্ত অমুসলিমের রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার হবে।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।