মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিউজিল্যান্ডে বন্দুক আইনে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। শুক্রবার দেশটির ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় পৃথক মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৪৯ মুসল্লি নিহতের পর এমনই আভাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডান। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে নৃশংসতম এ হামলার প্রেক্ষিতে একদিন পর শনিবার প্রধানমন্ত্রী দফতরের পক্ষ থেকে এই বন্দুক আইনে পরিবর্তন আনার আভাস দেওয়া হলো। খবর সিএনএনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৫০ লাখ লোকের বসবাস এই নিউজিল্যান্ডে। যেখানে অন্তত ১২ লাখ মানুষের হাতে আছে বন্দুকের লাইসেন্স। এর আগে ২০০৯ সালে দেশটিতে একসঙ্গে ৯ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। মূলত সে ঘটনার পর এই বন্দুকের লাইসেন্স সংক্রান্ত আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছিল।
এদিকে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘যেহেতু এ ধরনের ঘটনা একের পর ঘটেই যাচ্ছে এবং এগুলো লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়েই হচ্ছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই মুহূর্তে আপনাদেরকে বলতে পারি.. খুব শিগগিরি আমাদের বন্দুক আইনে এক বিরাট পরিবর্তন আসবে।’
নিউজিল্যান্ডের এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘হামলাকারীর কাছে পাঁচটি বন্দুক ও একটি লাইসেন্স পাওয়া গেছে। লাইসেন্সটি ২০১৭ সালের নভেম্বরে দেয়া হয়েছিল। তার কাছে পাওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে দুইটি সেমি-অটোমেটিক, দুটি শটগান ও লিভার অ্যাকশন ফায়ার আর্ম।’
যদিও পরদিন শনিবার হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে ব্রেন্টন ট্যারান্টকে আদালতে তোলা হয়েছে। যেখানে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তবে আদালতে ওঠার সময় তাকে সাংবাদিকদের দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দিতেও দেখা যায়। এ সময় তার চোখে বিন্দুমাত্র অনুতাপ দেখা যায়নি বলেও জানায় ব্রিটেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ক্রাইস্টচার্চে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একইসঙ্গে গোটা দেশ জুড়ে সকল মসজিদসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে যে, নিহতদের মধ্যে তাদের দেশের নাগরিকও রয়েছেন। যাদের মধ্যে তিন বাংলাদেশিও আছেন। এর মধ্যে ডঃ আব্দুস সামাদ নামে একজন অধ্যাপক রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত হামলার শিকার ‘মসজিদে নুর’-এর মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।