পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আহডার্ন। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এসময় তিনি ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেন। হামলাকারী ব্রেনটন ট্যারেন্ট (২৮) অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তিনি দুবছর ধরে নিউজিল্যান্ডের ডানিডিনে বসবাস করছেন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানান, হামলার সময় হামলাকারীর কাছে বৈধ অস্ত্র ছিল। এ কারণে হামলায় ব্যবহৃত গুলি কিনতে তাকে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। হামলাকারীর কাছে একটি লাইসেন্স ও পাঁচটি বন্দুক দেখা গেছে। লাইসেন্সটি তিনি গত নভেম্বর মাসে পেয়েছেন। হামলায় পাঁচটি বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে যার দুটি আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। এ ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে চান নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এদিকে ওই হামলাকারী নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়া সরকারের ওয়াচ লিস্টে ছিল না বলে জানিয়েছেন আহডার্ন। এর আগে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলাকে বর্ণবাদী ও ফ্যাসিবাদী হামলা বলে অভিহিত করেছেন তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মসজিদে এমন ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘এই হামলা প্রমাণ করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। আগেও আমরা দেখেছি ইসলামভীতি কেমন বিকৃত ও খুনে মানসিকতার জন্ম দেয়। এ ধরনের মানসিকতার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।’ অপর এক খবরে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলাকারী অভিযুক্ত উগ্রপন্থী শেতাঙ্গ ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে তুরস্ক। হামলার আগে বেশ কয়েকবার তুরস্কে সফরে গিয়েছিলেন এই হামলাকারী; এমন অভিযোগ ওঠার পর আঙ্কারা তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার জুমআর নামাজের সময় উগ্র ডানপন্থী শেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালান। মসজিদের ভেতরে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৪৯ জনকে হত্যা করেন তিনি। এছাড়া আহত হয় আরো ৪৮ জন। অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ২৮ বছর বয়সী এই হামলাকারীকে গ্রেফতারের পর শনিবার নিউজিল্যান্ডের আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তুরস্কের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, অস্ট্রেলীয় এই হামলাকারী বেশ কয়েকবার তুরস্ক সফর করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে তিনি আমাদের দেশে অবস্থান করেছিলেন। তবে বেন্টন কখন তুরস্কে এসেছিলেন সেব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি তুর্কি এই কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তুর্কি এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আমাদের ধারণা সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী তুরস্ক থেকে ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার কোনো দেশে গিয়েছিলেন। আমরা তার চলাফেরা এবং তুরস্কে অবস্থানকালে কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সেব্যাপারে তদন্ত করছি। তুরস্কের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলাকারী ওই বন্দুকধারী তুরস্কের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ইস্তাম্বুলের হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের মিনারেও উঠেছেলেন তিনি। অটোম্যান শাসনামলে খ্রিস্টানদের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো হাজিয়া সোফিয়া। পরে এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। রয়টার্স, এএফপি, আনাদোলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।