পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিখোঁজের প্রায় সাড়ে ১৫ মাস তথা ৪৬৭ দিন পর ফিরে এসেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সেনা কর্মকর্তা মারুফ জামান। পুলিশ ও স্বজন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁর বড় মেয়ে শবনম জামান ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বাবার ফিরে আসার খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের এডিসি আব্দুল্লাহিল কাফিও ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেলজিয়াম থেকে আসা ছোট মেয়ে সামিহা জামানকে আনতে ধানমন্ডির বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে বড় মেয়ে শবনম জামান ফেসবুকে ইংরেজিতে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টেই বাবার ফিরে আসার বিষয়টি বললেও এই মুহূর্তে ব্যাপারটি নিয়ে তাঁরা বিস্তারিত কিছু বলতে চাইছেন না বলে উল্লেখ করেন।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে শবনম লেখেন, ‘সাড়ে ১৫ মাস বা ৪৬৭ দিন পর আমার বাবা ফিরে এসেছেন। এই সময়ে যারা আমাদের পাশে ছিলেন তাঁদের প্রতি আমি ও আমার ছোট বোন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এখন সবাইকে অনুরোধ করব- যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা গিয়েছি, তা ভুলে থাকতে আমরা কিছুটা সময় নিজেদের মতো থাকতে চাই। এ বিষয়ে এখন আমাদের আর বিস্তারিত কিছু বলার নেই।’
পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর অপহরণকারীরা তাঁর পকেটে কিছু টাকা গুঁজে দেয়। তারপর তিনি সিএনজিতে করে তাঁর ধানমন্ডির ৯/এ সড়কের বাসায় ফেরেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, তিনি (মারুফ জামান) ফিরে এসেছেন বলে শুনেছি। তার বাসায় পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলবে।
ধানমন্ডি থানার ওসি লতিফুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টার দিকে মারুফ জামান ধানমন্ডির বাসা ফিরে আসেন। তিনি বর্তমানে শারীরিক ও মানুষিকভাবে অসুস্থ থাকায় আপাতত কোন কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বর্তমানে বাসায় বিশ্রাম করছেন বলে ওসি জানান।
পরিবার ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিদেশ থেকে আসা ছোট মেয়েকে আনতে বিমানবন্দরে যেতে ধানমন্ডির বাসা থেকে রওয়ানা হন মারুফ জামান। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বের হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বাসার ল্যান্ড ফোনে কল করেন তিনি। ল্যান্ড ফোনে মারুফ জামান জানান যে- কয়েকজন লোক তার বাসায় এসে তাঁর ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো নিয়ে যাবেন। এর কিছুক্ষণ পর রাত ৮টার দিকে কালো টি-শার্ট পরা সুঠামদেহী তিন লোক বাসায় এসে ল্যাপটপ, কম্পিউটারের সিপিইউ, একটি মুঠোফোন ও একটি ক্যামেরা নিয়ে যান। এ সময় বাসায় তল্লাশিও করেন তাঁরা। আগন্তুকদের মাথার টুপি নাক পর্যন্ত নামানো থাকায় বাসায় থাকা সিসি টিভি ফুটেজ দেখে তাদের চেহারা বুঝতে পারেনি পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মারুফ জামান সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন এবং কাতার ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন না। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাঁকে বিদেশি মিশন থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, মারুফ জামান নিখোঁজের পরদিন মঙ্গলবার তার ব্যবহৃত গাড়িটি খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট সড়কের পাশ থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে ওই সময় ধানমন্ডি থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই তারিকুল আনোয়ার তখন জানিয়েছিলেন যে- নিখোঁজের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মারুফ জামানের সর্বশেষ অবস্থান দক্ষিণখানে ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।