Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতে এবারের নির্বাচন কি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে?

বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়ে লাভ হচ্ছে না মোদির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম | আপডেট : ১২:০৯ এএম, ১২ মার্চ, ২০১৯

ভারতে গত রবিবার তফসিল ঘোষণার পর থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। ৫৪৩ আসনের লোকসভা নির্বাচন ১১ এপ্রিল থেকে। চলবে ৭ দফায় ১৯ মে পর্যন্ত। ইতোমধ্যেই প্রচার যুদ্ধে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এখন যে প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তা হচ্ছে ভারতের এবারের নির্বাচন কী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে হতে যাচ্ছে? অন্যদিকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়ে বিশেষ লাভ হচ্ছে না মোদির। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয়তাবাদের ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু উত্তর প্রদেশে এসপি-বিএসপির মধ্যে জোট সংহতি, এর সাথে ক্যারিশম্যাটিক মুখশ্রীর প্রিয়াংকা গান্ধীর উত্থানের ফলে জাতীয়তাবাদের মওকা তুলে বেশি সুবিধা পাচ্ছে না বিজেপি। অন্যদিকে পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলার রাজনৈতিক সুবিধা কিছুটা পাবে দলটি, তবে তা খুব বেশি নয়। এদিকে সর্বশেষ এক ভোট সমীক্ষায় বলছে যে এবার সরকার গড়ার এক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বিজেপি। উল্লেখ্য, গত বারের ৯ দফা থেকে কমিয়ে এ বারে সাত দফায় ভোট হচ্ছে। তবে ভোট শেষ হওয়ার দিন পিছিয়ে গেল অনেকটা। ২৩ মে ফল ঘোষণা হবে।
রবিবার প্রকাশিত এবিপি নিউজ ও সি-ভোটারের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বালাকোটে বিমানবাহিনীর অভিযান নিয়ে যে জাতীয়তাবাদের ঢেউ তোলা হয়েছে, তাতে এনডিএ বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে না। সম্ভাব্য আসন বাড়লেও তা সামান্য। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের একাধিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলার পর রাজনৈতিকভাবে কিছুটা সুবিধা পাবে বিজেপি। তবে সে সুবিধা খুব বেশি নয়।এবারের নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তবে সরকার গড়ার সুযোগ থাকবে তাদের। বালাকোট জঙ্গি হামলার ঘটনায় খুব বেশি সুযোগ পাচ্ছে না বিজেপি। এতে কিছু আসন হয়তো বাড়তে পারে। বিজেপিরছেনেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ২৬৪টি আসন। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। দেশের ৫১ হাজার ভোটারের সঙ্গে কথা বলে এই সমীক্ষা করা হয়।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিজেপি এককভাবে পেতে পারে ২২০টি আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ পেতে পারে ১৪১টি আসন। পাশাপাশি মমতা, চন্দ্রবাবু নাইডু, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলসহ তাদের জোটে থাকা ২৩টি দল পেতে পারে ১৩৮টি আসন। ফলে এ তিনটি জোটের কারও পক্ষে সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় আসন না থাকলেও জোট করে সরকার গড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকছে এনডিএর।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের তরফে সি-ভোটারের করা সমীক্ষাব বলা হয়েছে, যদি উত্তর প্রদেশে বিরোধী মহাজোট ভেঙে যায়, তবে এনডিএর আসনসংখ্যা বেড়ে ৩০৭–এ পৌঁছাতে পারে। ইউপিএ পেতে পারে ১৩৯টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ৯৭টি আসন। উত্তর প্রদেশে যদি মহাজোট সফল হয়, তবে বিজেপির আসনসংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২৯। এ রাজ্যে রয়েছে লোকসভার ৮০টি আসন।
ভারতের জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য মহারাষ্ট্রের মারাঠি ভাষার জি-গ্রুপের সংবাদ চ্যানেল ‘জি-২৪ তাস’ তাদের সমীক্ষায় বলেছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ এবার এককভাবে সরকার গড়তে পারছে না। তবে তারা এককভাবে আসন সংখ্যায় শীর্ষে থাকবে। লোকসভায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেতে পারে ২৬৪টি আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ বা সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট এবার পেতে পারে ১৬৫টি আসন। মমতার ইউনাইটেড ইন্ডিয়া এবং তাদের শরিক বহুজন সমাজপার্টি, সমাজবাদী পার্টি, তৃণম‚ল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তেলেগু দেশমসহ ২৩ জোট সঙ্গী পেতে পারে ১১৪টি আসন।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়, মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভার আসনের মধ্যে বিজেপি-শিবসেনা জোট পেতে পারে ৩০টি আসন। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের ৮০টি লোকসভার আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ৫০টি আসন আর সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজপার্টির জোট পেতে পারে ২৫টি আসন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ