পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলমান পাঁচ দফার উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন ধরণের টেনসন বা চিন্তা করছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচন নিয়ে কোন ধরণের আলোচনা বা মাথাব্যাথাও নেই কেন্দ্রীয় সংগঠনের। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না নেয়ায় আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের মুখোমুখি। দলের মনোনয়ন প্রাপ্ত বা বিদ্রোহী যেই নির্বাচিত হোক না কেনো সে দলেরই একজন; তাই এ কোন চিন্তাও নেই। তবে নির্বাচন নিয়ে নতুন কোন বিতর্ক চায় না ক্ষমতাসীনরা।
গত ১০ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন ৫৫ জন আর বিদ্রোহী প্রার্থী জয় পেয়েছেন ১০ জন। নির্বাচনে উপজেলাগুলোতে নৌকার বিপক্ষে ৩ থেকে ৭ জন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। দলের একাধিক প্রার্থীর কারণে স্থানীয় সংগঠনে তুমুল কোন্দল শুরু হয়েছে। অনেক জায়গায় মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। সামনে চার ধাপের নির্বাচনেও প্রার্থীদের বিরোধে দলের সাংগঠনিক অবস্থা চরম বিপর্যস্ত। চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে তৃণমূলে।
তৃণমূল সংগঠনের বেহাল দশা হলেও তা নিয়ে চিন্তিত নয় কেন্দ্রীয় সংগঠন। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার বিষয়েও আগ্রহী নয় কেন্দ্রীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতিযোগীতার কারণে কোন্দল বা বিভাজন হবেই। এটা স্বাভাবিক বিষয়, নির্বাচনের পর এ ধরণের কোন্দল বিরাজ করে না। অতীতের অভিজ্ঞতা এমনই। সময় মত আওয়ামী লীগের সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়। তাই এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আর এবার বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় দল থেকে কোন কড়াকড়ি নেই। এক্ষেত্রে দলের একাধিক নেতাদের কারণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে, প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নির্বাচনে বিরোধী দল শক্ত অবস্থানে থাকলে চিন্তার বিষয় ছিল; কেন্দ্র থেকে সেভাবে ব্যবস্থা কৌশল গ্রহণ করা হতো। কিন্তু নির্বাচনে এমনিতেই প্রার্থী নেই; এরপরও যদি দলের বিদ্রোহীদের বহিষ্কার করা হয় তাহলে তো আর নির্বাচন হবে না। তিনি জানান, নির্বাচনে বিদ্রোহীদের শাস্তি দেয়া হয় বা বহিষ্কারের ভয় দেখানো এই কারণে যে তার জন্য যেন দলের প্রার্থী ভোট কম পেয়ে পরাজিত না হয়। বিএনপি না থাকায় যারা জয়লাভ করবে তারা সকলেই দলেরই। সেজন্য বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে কোন চিন্তা নেই দলের।
দলীয় সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে কে জয়লাভ করলো তা দেখা হচ্ছে না। সুষ্ঠু সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার বিষয়ে জোর দেয়া হচ্ছে। সেজন্য এবার নির্বাচন মনিটরিং সেল বা নির্বাচনের দিন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তা মনিটরিং করা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ইনকিলাবেকে বলেন, দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমরা তৃণমূলে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। আগামী চার ধাপের নির্বাচনও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করেন দলের এ নেতা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।