পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্যাসের দাম বাড়াতে গণশুনানি শুরু করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সংস্থাটি বলছে, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির কারণে গ্যাসের দাম বাড়াতে এ গণশুনানি শুরু করেছে। অন্যদিকে দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাবকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে বিএনপিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর কাওরান বাজারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) অডিটরিয়ামে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিইআরসি’র গ্যাসের মূল্য সমন্বয়ের গণশুনানিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণ তুলে ধরে পেট্রোবাংলা।
গণশুনানিতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, দেশে গ্যাসের ঘাটতি দূর করতে হলে এলএনজি আমদানি জরুরি। দেশের গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ঘাটতি মোকাবিলা করতে হলে গ্যাসের দাম বাড়ানো জরুরি। বর্তমানে ৫শ এমএমসিএফডি এলএনজি আমদানি হচ্ছে। আগামী এপ্রিলে আরও ৫শ এমএমসিএফডি পাইপ লাইনে যুক্ত হবে। এক হাজার এমএসসিএফডি এলএনজি পাইপলাইনে যুক্ত হলে বছরে ২৪ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা ঘাটতি হবে। পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশীয় কোম্পানি বিজিএফসিএলের কাছ থেকে ৭৭২ এমএমসিএফডি গ্যাস ৭০ পয়সা হারে (প্রতি ঘনমিটার), বাপেক্সের কাছ থেকে ৩ টাকা ৪ পয়সা হারে ১০৮ এমএমসিএফডি, এসজিএফসিএলের কাছ থেকে ২০ পয়সা হারে ১২৪ এমএমসিএফডি, আইওসির কাছ থেকে ২ দশমিক ৫৫ টাকা হারে ১ হাজার ৭১২ এমএমসিএফডি গ্যাস ক্রয় করেছে। যার ইউনিট প্রতি দাম পড়ছে গড়ে প্রায় সাড়ে ৬ টাকার মতো। আর আমদানিকৃত এলএনজির দাম পড়বে ৩৯ দশমিক ৮২ টাকা।
বর্তমানে গড়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ৭ দশমিক ১৭ টাকা দরে বিক্রি করছে। এর সঙ্গে এলএনজি চার্জ ৯ দশমিক ৫৫ টাকা হারে নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। বিইআরসি’র পূর্ণাঙ্গ কমিশনে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য আব্দুল আজিজ, মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, মাহমুদ উল হক ভুইয়া এবং ক্যাব, সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানি চলাকালে কারওয়ান বাজারের টিসিবি অডিটোরিয়ামের বাইরে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নাগরিক সমাজ। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, গণতান্ত্রিক পার্টির শামসুল আলম প্রমুখ। নাগরিক সমাজের বক্তারা বলেন, বেশি দামে এলএনজি আমদানি করে এই দায় জনগণের ওপর চাপানো হচ্ছে। এদিকে, অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। এই লুটপাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে গণশুনানিকে গণতামাশায় পরিণত করেছে। গ্যাসের দাম গড়ে ৬৬ ভাগ বাড়ালে দেশে নৈরাজ্য তৈরি হবে। তাই অবিলম্বে এ গণশুনানি ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবনা বাতিল করে দেশের সাধারণ মানুষকে আশু ভোগান্তি থেকে মুক্তির দাবি জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।