পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মার্কিন-তালেবান শান্তি প্রচেষ্টায় ভূমিকার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন মোড় নেবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি। রবিবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সময় এই মন্তব্য করেছেন তিনি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এখবর জানিয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে না থাকলে পাকিস্তানকে ‘অনেক কিছু হারাতে হবে’ বলে সতর্ক করেন। পাকিস্তান যদি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে থাকে তবে যুক্তরাষ্ট্র আর দেশটিকে সহ্য করবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছিলেন তিনি। ওই বছরেই জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল উন্মোচন করতে গিয়ে তিনি জঙ্গিবাদ দমনের জন্য পাকিস্তানকে চাপ দিয়েছেন। নিজস্ব ভূখন্ডে তৎপরতা চালানো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের শুরুতেই পাকিস্তানকে দেওয়া সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে সাড়ে ২২ কোটি (২২৫ মিলিয়ন) ডলার আটকে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ওই অর্থবছরে পাকিস্তানকে বেসামরিক ও সামরিক সহায়তার জন্য ৩৩ কোটি ৬০ লাখ (৩৩৬ মিলিয়ন) ডলার অনুমোদনের আবেদন করা হয়। আফগান জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে আগের বরাদ্দকৃত অর্থের বিশাল একটা অংশ পাকিস্তানকে দেওয়া থেকে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে গত বছরের সামরিক সহায়তার আবেদনে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে, ২০১৯ অর্থ বছরের বরাদ্দ অর্থ অবশ্যই শর্তসাপেক্ষ। ট্রাম্প প্রশাসনের দক্ষিণ এশিয়া কৌশল অনুসারে পাকিস্তান যৌথ স্বার্থ রক্ষা সহায়তা বৃদ্ধি ও জাতীয় মতানৈক্যের ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিলেই কেবল এই অর্থ ছাড় করা হবে। এই নিয়ে উভয় দেশের সম্পর্কে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের তালিকায় রয়েছে। কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কিন্তু আমাদের সফল পররাষ্ট্রনীতির কারণে উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে।
মার্কিন-তালেবান শান্তি আলোচনার নেপথ্যে পাকিস্তানের ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছে কোরেশি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নতুন মোড় নেবে। কাতারে মার্কিন-তালেবান শান্তি আলোচনা চলছে এবং ইতিবাচক ফল আসার প্রত্যাশা রয়েছে। কোরেশি বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পাকিস্তান যে শুধু মধ্য এশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পার তা নয় বরং অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। বাড়বে পণ্য রফতানি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।