পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তারা দু’জনেই সরকারপ্রধান। দু’জনেই চতুর্থ মেয়াদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশকে। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদের দু’জনের সংগ্রামের নজিরও প্রবাদতুল্য। বর্তমান বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়কদের কাতারেও রয়েছেন তারা। এই দু’জন হলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। তাদের দু’জনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত জার্মান দূতাবাস।
গতকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একই ফ্রেমে থাকা এই দুই বিশ্বনেতার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে- “দুই মহান নেতা তাদের নিজ নিজ দেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জার্মানির সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ‘উইমেনস অফিসার’ ক্লারা জেটকিনের প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ১৯১০ সালে তিনিই আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের সূচনা করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯১১ সালের ১১ মার্চ জার্মানিতে নারী দিবস উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, নারীর প্রতি বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন একটি সুঁচ কারখানার নারী শ্রমিকরা। ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কের ওই কারখানায় বিপজ্জনক ও অমানবিক কর্মপরিবেশ, স্বল্প মজুরি এবং দৈনিক ১২ ঘণ্টা শ্রমের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে ৮ মার্চ তারিখে সংঘটিত উল্লেখযোগ্য আরও ঘটনার ধারাবাহিকতায় ১৯১০ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলনে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করা হয়। এর প্রস্তাব করেছিলেন জার্মান সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা ক্লারা জেটকিন।
পরে বিভিন্ন দেশ এই দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে পালন করতে থাকে। ১৯৭৫ সাল থেকে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন শুরু করে জাতিসংঘ। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রথম সরকার গঠন করেন তিনি। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ফের বিজয়ী হলে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় ও মোট চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে, ২০০৫ সালে জোট সরকার গঠনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জার্মান চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। এরপর থেকেই টানা সরকার গঠন করে আসছে তার দল। বর্তমানে চতুর্থ মেয়াদে জার্মান চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করছেন মেরকেল।
প্রভাবশালী মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের সর্বশেষ তালিকাতেও বিশ্বের প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় অ্যাঙ্গেলা মেরকেল রয়েছেন শীর্ষে। এই তালিকার ২৬তম স্থানে রয়েছেন শেখ হাসিনা। আর নারী রাজনীতিবিদ হিসেবে শেখ হাসিনার অবস্থান ষষ্ঠ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।