মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র সংস্কারের খবর আসার পরও নতুন করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ ও দুটি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানায়, উত্তর কোরিয়ার তোংচাং-রি-তে সোহায়ে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে সংস্কার কাজ চলছে। এর আগে পিয়ংইয়ং জানিয়েছিল, তারা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি স্থগিত রাখবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়া নিশ্চিতভাবে রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র পুনর্র্নিমাণ করলে তিনি ‘হতাশ হবেন’। পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার আগেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার মতবিরোধের কারণে গত মাসে হ্যানয়ে ট্রাম্প ও উনের বৈঠকটি কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়। নতুন করে তাই ট্রাম্প-উনের বৈঠকের ব্যাপারে সংশয় ছিল। বৃহস্পতিবার সেই সংশয় দূর করেছেন উপদেষ্টা জন বোল্টন। ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট নিশ্চিতভাবেই আরেকটি আলোচনার জন্য রাজী। এটি কখন করা যায় কিংবা কিভাবে এ নিয়ে কাজ করা যায় আমরা তা দেখছি।’ অপর এক খবরে উত্তর কোরিয়া বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নয়দিনব্যাপী যে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে তা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার প্রতি সর্বাত্মক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ গতকাল (বৃস্পতিবার) সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পিয়ংইয়ং চুক্তিতে পৌঁছার পর যে বিবৃতি ও যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছিল তার চরম লঙ্ঘন ঘটেছে চলমান মহড়ার মধ্যদিয়ে। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রর যৌথ বিবৃতি এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ ঘোষণায় শত্রæতা ও উত্তেজনা দূর করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছিল। গত রোববার দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক দুটি বড় সামরিক মহড়া অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হয় এবং চলতি সপ্তাহে তা শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা রয়েছে। দু দেশের মধ্যকার সামরিক মহড়া সবসময় উত্তর কোরিয়ার কাছে অস্বস্তির বিষয় এবং এ ধরনের মহড়া বন্ধ করার জন্য পিয়ংইয়ং চাপ সৃষ্টি করে আসছে। গত জুন মাসে সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিউলের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ ধরনের মহড়া শুধু অর্থের অপচয়; যুক্তরাষ্ট্রর জন্য লাভজনক কিছু নয়। তারপরও এ মহড়া শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। সিএনএন, রয়টার্স, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।