Inqilab Logo

শনিবার, ২২ জুন ২০২৪, ০৮ আষাঢ় ১৪৩১, ১৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যাংকগুলোর এডিআর সীমা সমন্বয়ের সময় ফের বাড়লো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৯, ৯:৩৪ পিএম

ব্যাংকের নির্ধারিত ঋণ ও আমানতের অনুপাত (এডিআর) সীমা সমন্বয়ের জন্য ব্যাংকগুলোকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ব্যাংক খাতে নগদ অর্থের সংকট দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অবশ্য এর আগে তিনবার ঋণ-আমানত অনুপাতের সীমা সমন্বয়ের সময় নির্ধারণ করেও পরে পিছু হটে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রত্যেকবারই নগদ অর্থের সংকটকে কেন্দ্র করে ঋণ-আমানত অনুপাতের সীমা সমন্বয়ের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের ৯ এপ্রিল জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে ঋণ-আমানত অনুপাতের সীমা সমন্বয়ের জন্য এই মাসের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল।

২০১৮ সালের শুরুর দিতে রাজধানীর একটি হোটেলে ব্যাংক মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে ঋণ-আমানত অনুপাতের সীমা সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণ (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও-সিআরআর) এক শতাংশ কমানো এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের তহবিলের ৫০ ভাগ অর্থ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

গতকাল দেশের ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত উল্লিখিত হারের চেয়ে বেশি রয়েছে সেগুলোকে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে নির্ধারিত মাত্রায় তা নামিয়ে আনতে হবে। এজন্য একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ডিপার্টমেন্ট অব অব সাইট সুপারভিশনে দাখিল করতে হবে।

ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ব্যাংকিং থামাতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ-আমানত অনুপাত সীমা পুর্নর্নিধারণ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনে গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (এবিবি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি দিয়ে এডিআর না কমানোর অনুরোধ করেছিল। পরে এডিআর সীমা সমন্বয়ের সময় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা ঋণ দিতে পারবে। আর ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারবে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা পর্যন্ত। আর ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে সর্বোচ্চ ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা ঋণ দিতে পারবে। আর ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারবে সর্বোচ্চ ৮৯ টাকা পর্যন্ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ