পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলছেই। গত ২৬ ফেব্রুয়ারির ওই অভিযানে ভারত নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করতে সফল হয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। পাকিস্তান দাবি করে আসছিল, কিছু গাছ এবং জঙ্গল ছাড়া কোনও ক্ষতি হয়নি পাকিস্তানের। এবার অভিযানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও। আর তার নেপথ্যে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থার পাঠানো উপগ্রহের তোলা কিছু ছবি। তাতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলায় জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দেখা গিয়েছে।
ভারতের হামলার স্থানে গত ৪ মার্চ একটি উপগ্রহ পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্ল্যানেট ল্যাবস আইএনসি সংস্থা। হাই রেজলিউশন ক্যামেরা বসানো ওই উপগ্রহ আকাশ থেকে মাটিতে থাকা ২৮ ইঞ্চি আয়তন বিশিষ্ট যে কোনও বস্তুর সুস্পষ্ট ছবি তুলতে সক্ষম। সেই উপগ্রহের পাঠানো বেশ কিছু ছবির নাগাল পেয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। সেগুলি পর্যবেক্ষণ করে তারা জানিয়েছে, ছবিতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি ধরা পড়েনি। বালাকোটের জাবা গ্রামে জইশের ঘাঁটি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে জইশ চালিত মাদ্রাসা-সহ মোট ছ’টি বাড়ি। ভারত সরকার যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরছিল, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে তাদের দাবি। রয়টার্স জানিয়েছে, এ ব্যাপারে ভারতীয় বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল ইমেলেও। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি।
ভারত সরকার যদিও মঙ্গলবারও নিজেদের দাবিতে অনড় থেকেছে। অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদতে বিমানবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তবে মার্কিন বিশ্লেষকদের যুক্তি, ‘১২টি যুদ্ধবিমান থেকে ১০০০ কেজি বোমা ফেলার কথা জানা গিয়েছে দিল্লিসূত্রে, তাতে একটা বাড়িও দাঁড়িয়ে থাকার কথা নয়। কিন্তু উপগ্রহের পাঠানো ছবিতে অন্য দৃশ্য ধরা পড়েছে।’ এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে সবিস্তার তথ্য দিতেও অনুরোধ করেছেন তারা।
এদিকে, ভারতের বিমানবাহিনী গতকাল বুধবার দাবি করেছে তারা উপগ্রহ চিত্র দিয়ে প্রমাণসহ সরকারের কাছে ১২ পাতার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই দিন ৮০ শতাংশ বোমাই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায় বলেন, ‘দেশের মানুষ প্রকৃত সত্য এবং তথ্য জানতে পারছে না। এটা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে উপযুক্ত নয়।’ সেইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ‘আমরা দেশের বাহিনী, মানুষ এবং শান্তির পক্ষে। আর দাঙ্গা, মোদি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে।’
কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগবিজয় সিং পালওয়ামা হামলাকে ‘দুর্ঘটনা’ বা এক্সিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করে বিতর্কের ঝড় তুলে দিয়েছেন রাজনীতিতে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ভারত সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।