নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হোম কণ্ডিশনের সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশকে নাজেহালই করে ছেড়েছে নিউজিল্যান্ডের পেসাররা। গতি, স্যুইং আর বাউন্সের সমন্বয়ে গড়া কিউই পেস আক্রমণে বেসামাল সফরকারী ব্যাটিং অর্ডার। সেই পেস চতুষ্টয়ের নামগুলোও পিলে চমকে দেয়ার মতো- ট্রেন্ট বোল্ড, টিম সাউদি, নিল ওয়াগনার, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। আবারো সামনে আরেকটি পেস বান্ধব উইকেট, তবে এবার নতুন হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে ‘শর্ট’ বল। যে বলে বরাবরই ‘অনভিজ্ঞ’ বাংলাদেশ। ওয়েলিংটন টেস্টের আগে সেই হুমকিই দিয়ে রাখলেন চতুষ্টয়ের সেরা পেসার বোল্ট। ওয়াগনারকে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের শর্ট বোলিং দিয়ে বিপদে ফেলার পরিকল্পনা আঁটছেন এই কিউই গতি তারকা।
ওয়েগনারের শর্ট বলের বিপক্ষে তৈরি হয়েই মাঠে নামবে টাইগার ব্যাটসম্যানরা, জানেন বোল্ট। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী শর্ট বলের পরিকল্পনা খুবই কার্যকারী এবং ওয়েগনার সেই কাজ খুব নিখুঁতভাবে করতে পারেন বলেও জানান বোল্ট, ‘আমি নিশ্চিত তারা (বাংলাদেশ) ওয়েগনারের শর্ট বলের জন্য তৈরি হয়েই আসবে। আমার মতে শর্ট বলের পরিকল্পনাটা খুবই কার্যকর, বিশেষ করে যখন উইকেটে কিছুই থাকে না, বল সুইং হয় না, ‘আমাদের শর্ট বল স্পেশালিস্ট ওয়েগনার আছে, যে কিনা নিজের পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারে। আশা করছি দ্বিতীয় ম্যাচেও সে তাই করবে।’
হ্যামিল্টন টেস্টে জিতলেও এখনও কিউইদের অনেক উন্নতির জায়গা রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন বোল্ট, ‘হ্যামিল্টনে আমরা ভালো করেছি ঠিকই, তবে এখনো বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে আমাদের উন্নতি প্রয়োজন। আমরা চাইবো বল হাতে আরও ভালো শুরু করতে এবং শুরু থেকেই তাদের টপঅর্ডারে চাপ দিয়ে উইকেট তুলে নিতে। আমার মনে হয় যেহেতু তারা হ্যামিল্টনে প্রায় ৭০০ রান (দুই ইনিংসে) করেছে, এতে তাদের মধ্যে সাহস সঞ্চার হয়েছে। আমরা এর বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত।’ এই ভয়ের আরেকটি কারণ সাম্প্রতিক লঙ্কা সিরিজ, ‘আমি একই কণ্ডিশনের আশা করছি যেটা ডিসেম্বরে ছিল। আশা করি আমরা সুযোগহীন এবং উইকেটশূন্য চতুর্থ দিনের অভিজ্ঞতায় যাব না।’
তার বিশ্বাস, প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের মতো এবারো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, ‘এটা টেস্ট ক্রিকেট, তাই সহজ হওয়ার না। আগের টেস্টে বাংলাদেশের ১০ উইকেট সবার ঘাম ঝরেছে। তবে এরকম কষ্ট করে জেতার মাঝে মজাও আছে, এটাই টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য, বরাবরই চ্যালেঞ্জিং।’
ক্রিকেটের সবচেয়ে কঠিন ফরম্যাট টেস্টের আনন্দই এখানে। এমন জয়ই বেশি উপভোগের বোল্টের কাছে, ‘এটা টেস্ট ক্রিকেট এবং এখানে সহজ বলে কিছু নেই। গত দিন যেটা সবচেয়ে ভালো দিক ছিল, আমাদের অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে এবং দশ উইকেট নিতে বাংলাদেশ আমাদের অনেক পরিশ্রম করিয়েছে। এরপর খেলায় ফিরে আসা এবং জয়ী হওয়া বেশি উপভোগের। এটাই টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য, এটা সবচেয়ে কঠিন ফরম্যাট এবং আপনাকে পাঁচ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে এবং এটাই সত্যিকারের টেস্ট। এই চ্যালেঞ্জ সব ছেলেরাই উপভোগ করে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।