নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভরাডুবির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিলো বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল-সাদমান ইসলামের ভালো শুরুর পর সৌম্য সরকার-মাহমুদউল্লাহর জোড়া সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ড ছাড়ায় চারশো রান। তাতে অবশ্য ইনিংস হার এড়াতে পারেনি সফরকারীরা। তবে ওই ইনিংসের আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্টে এখন লড়াই করতে উন্মুখ তামিম-সাদমানরা।
গতকাল দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু ওয়েলিংটনে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। বিমানবন্দরে নেমে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। হ্যামিল্টনে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ৪২৯ রান। আর ওই ইনিংসটিই সফরকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করেন ওপেনার সাদমান, ‘হ্যামিল্টনে দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। চেষ্টা করবো ওয়েলিংটন টেস্টে সেই ধারাটা অব্যাহত রাখতে। আশা করি, ব্যাটসম্যানরা সবাই বুঝতে পেরেছে, প্রতিপক্ষ বোলারাদের বিপক্ষে কোন কোন পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’ যদিও হ্যামিল্টনের মতো একই ধরনের উইকেট ওয়েলিংটনে হবে না। তবুও মানসিকভাবে এগিয়ে থাকায় উইকেট নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না সাদমান, ‘ওয়েলিংটনের উইকেট আগের টেস্টের চেয়ে ভিন্ন থাকবে। তারপরও আমরা এই মুহূর্তে মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে আছি। আশা করি এখানে আমরা ভালো লড়াই করতে পারবো।’
প্রথম ইনিংসে নেইল ওয়াগনার ও দ্বিতীয় ইনিংসে ট্রেন্ট বোল্ট বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। হ্যামিল্টনে ৭ উইকেট নেওয়া ওয়াগনার এক কথায় ছিলেন ভয়ঙ্কর। বডি লাইন তাক করে বোলিং করা ওয়াগনারকে খেলার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সাদমান জানান, ‘ওয়াগনারকে প্রথমবারের মতো খেলেছি, প্রথম টেস্টে খেলার অভিজ্ঞতা দ্বিতীয় টেস্টে কাজে লাগবে। তামিম-সৌম্য ভাইয়ের ব্যাটিং দেখে আমরা শিখেছি, কীভাবে ব্যাটিং করতে হবে। আশা করি কাজে লাগবে এই অভিজ্ঞতা।’
হ্যামিল্টনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে একেবারে শূন্য হাতে ফেরেননি সাদমান। প্রথম ইনিংসে ২৪ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ২৭ রানের ইনিংস। তবে ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ আছে সাদমানের। ওয়েলিংটনে তাই ইনিংস লম্বা করার লক্ষ্য এই তরুণের, ‘আমি বেসিক প্ল্যানের ওপর থাকার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করবো পরের ম্যাচে যেন সেট হয়ে লম্বা ইনিংস খেলতে পারি।’
এই আত্মবিশ্বাসের পাল্লা আরো ভারী হতে যাচ্ছে আরেকটি কারণে। এই টেস্টে খেলতে প্রস্তুত ওয়ানডে সিরিজেই পাঁজরের ব্যথায় পড়া দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। চোট থেকে সেরে উঠা এই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় টেস্টেই নামতে পারেন। তবে তার ব্যাপারে ঝুঁকি নিতে চান না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জানালেন, তার ফেরার সম্ভাবনাও এখন অনেক উজ্জ্বল, ‘মুশফিকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও জিমে গেছে, অনুশীলন করছে। ও আমাকে বলেছে খুব ভাল ফিল করছে। দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে। তবে বিশ্বকাপ সামনে বলেই আমি বলেছি কোন ঝুঁকি না নিতে। একটু যদি সমস্যা থাকে তাহলেও তুমি খেলবে না। যদি ফিজিও বলে সম্পূর্ণ ঠিক আছ তাহলে তুমি খেল। ও বলেছে আমি তো খেলতেই চাচ্ছি।’
তবে এই টেস্টেও নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে এই টেস্টে পাওয়া যাচ্ছে না এটা নিশ্চিত। ১৬ মার্চ থেকে এই ক্রাইস্টচার্চেই সিরিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য দেশসেরা অলরাউন্ডারের ফেরার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। বোর্ড প্রধান দিলেন তেমনই তথ্য, ‘সাকিবের যেটা হয়েছে। ও তৃতীয় টেস্টটা খেলবে বলেছিল। খেলতে যাবে। এমনকি আমি আইসিসির মিটিংয়ে যাওয়ার আগে ও বলেছিল ম্যাচ অনুশীলনের জন্য এই টুর্নামেন্টেই (সদ্য সমাপ্ত ডিপিএল টি-২০) খেলতে চায়। আমি ভাবছিলাম এখানটায় খেলতে পারলে তো সেকেন্ড টেস্টেও পারবে।’
তবে ফেরার সম্ভাবনা থাকলেও বিশ্বকাপের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ এই তারকাকে নিয়েও কোন রকম ঝুঁকি নেওয়ার পক্ষে নন তিনি, ‘আমি শুনলাম সে একটা টেস্ট করেছে, আবার তাকে সাতদিনের বিশ্রাম দিয়েছে। আমি মনে করি তৃতীয় টেস্ট যে ওকে খেলতেই হবে এমন না। কারণ সামনে বিশ্বকাপ। আমরা চাই পুরোপুরি সেরে উঠেই সে খেলুক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।