পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন করে ব্যাংকিং খাতে যুক্ত হচ্ছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক নামে আরও তিনটি নতুন বেসরকারী ব্যাংক। নতুন ব্যাংক অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ বোর্ড সভায় ব্যাংক তিনটিকে সম্মতিপত্র (এলওআই) দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। পূর্ণাঙ্গ শর্তাবলি পালন করা হলে দেশের মোট ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২। শর্তের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন সংগ্রহ করতে হবে নতুন ব্যাংকগুলোকে। শুধু নতুন ব্যাংকগুলোর নয় সব ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৫শ’ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী দুই বছরের মধ্যে সব ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৫শ’ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। মূলধন বাড়ানোর উপায় নিয়ে দিক নির্দেশনা দিয়ে শিগগিরই সার্কুলার জারি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিদ্যমান নিয়মে ব্যাংকের চার শ’ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমানে ৫শ’ কোটি টাকার বেশি রয়েছে ৪০ ব্যাংকের মূলধন। কার্যক্রম শুরুর জন্য চলতি মাসে প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত তিন ব্যাংকও মূলধন ৫শ’ কোটি টাকায় উন্নীত করতে দু’বছর সময় পাবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং রীতিনীতি অনুযায়ী একটি ব্যাংকের মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি সেই পরিমাণ মূলধন রাখতে হয়। ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে ২০১৬ সাল থেকে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশের অতিরিক্ত হারে মূলধন রাখতে হচ্ছে। প্রতিবছর শূন্য দশমিক ৬২৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত মূলধন রেখে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে গিয়ে একটি ব্যাংককে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ মূলধন রাখতে হবে। অতিরিক্ত এ মূলধনকে ব্যাংকিং পরিভাষায় আপদকালীন সুরক্ষা সঞ্চয় বা কনজারভেশন বাফার বলা হয়।
পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বিবেচনায় মূলধন রাখার বাধ্যবাধকতা বহাল থাকবে। এক্ষেত্রে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বিবেচনায় কোন ব্যাংকের মূলধন যদি ৪৮০ কোটি টাকা রাখার প্রয়োজন হয়। তাও ব্যাংকটিকে ন্যূনতম মূলধন রাখতে হবে ৫০০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক কোম্পানি আইনে একটি নতুন ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন রাখার বিধান রয়েছে। এটি পরিবর্তন করতে হলে আইন সংশোধন করতে হবে। আশির দশকে বেসরকারী খাতে প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫০ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে তা ২০০ কোটি এবং ২০১৩ সালে নতুন ৯ ব্যাংকের জন্য ৪০০ কোটি টাকা করা হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় তিনটি ব্যাংকের প্রাথমিক অনুমোদন ছাড়াও বাকি ব্যাংকগুলোর বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে ২০১৩ সালের পর চালু হওয়া সব ব্যাংককে নতুন করে আরও ১০০ কোটি টাকা মূলধন যোগাড় করতে হবে। আর এ জন্য দুই বছর সময় বেধে দিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পরিশোধিত মূলধন ৫শ’ কোটি টাকার কম ১৯ ব্যাংকের: পরিশোধিত মূলধন হলো একটি ব্যাংকের উদ্যোক্তাসহ শেয়ার হোল্ডারদের সরবরাহ করা অর্থ। একটি ব্যাংকের নূন্যতম পরিশোধিত মূলধন কত হবে তা ঠিক করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন (সেপ্টেম্বর) শেষে পরিশোধিত মূলধন ৫শ’ কোটি টাকার নিচে থাকা ব্যাংকগুলোর বেশির ভাগই নতুন প্রজন্মের। ব্যাংকগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংক রয়েছে দুটি ও বেসরকারী খাতের ১০টি। আর বিদেশী সাতটি ব্যাংক রয়েছে এ তালিকায়। এসব ব্যাংকের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে তিনটি ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রয়াত্ত রূপালী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৩৭৭ কোটি টাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকা এবং উত্তরা ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৫শ’ কোটি টাকার নিচে থাকা বাকি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বিডিবিএলের রয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১৯৯ কোটি টাকা, সীমান্ত ব্যাংকের ৪০০ কোটি, এনআরবি গ্লোবাল ৪২৫ কোটি, এনআরবি ব্যাংক লি. ৪৩২ কোটি, মধুমতি ৪৫২ কোটি, মেঘনা ব্যাংক ৪৭০ কোটি, এনআরবি কমার্শিয়াল ৪৯০ কোটি এবং সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪৯৯ কোটি টাকা। বিদেশী ব্যাংকগুলোর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মূলধন রয়েছে ২৩৪ কোটি টাকা। পর্যায়ক্রমে এইচএসবিসির ৩০৯ কোটি, উরি ব্যাংকের ৪২৮ কোটি, হাবিব ব্যাংকের ৪৩১ কোটি, ব্যাংক আল-ফালাহর ৪৪৫ কোটি, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ৪৪৫ কোটি এবং সিটি ব্যাংক এনএ’র পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৪৮৩ কোটি টাকা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।