পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিদেশি পর্যটকদের জন্যে ইলেকট্রনিক ভিসা চালুর অনুমোদন দিয়েছে সউদী আরব। পর্যটকরা যাতে দেশটিতে আয়োজিত খেলাধুলা, কনসার্ট কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন, সে হিসেবে সউদী মন্ত্রিসভায় এর অনুমোদন হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশটি তাদের অর্থনীতিকে বহুমুখী করা ও বিধি-নিষেধে পরিবর্তন এনে সমাজকে উন্মুক্ত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে পর্যটকদের ভ্রমণের ব্যাপারে খুবই রক্ষণশীল ছিল সউদী।
সউদী সরকার জানিয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান স্থানীয় নাগরিক এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য পর্যটন খাতে ব্যয়ের অর্থ উত্তোলন করার লক্ষ্যে রয়েছেন। দেশটিতে কয়েকবছর ধরেই পর্যটকদের প্রবেশের অনুমোদনের ব্যাপারে আলোচনা চলছিল। শুধুমাত্র রক্ষণশীল মতামত ও আমলাতন্ত্রের কারণেই এতদিন এটি আটকে ছিল।
আরব নিউজ বলছে, দূতাবাস এবং কনস্যুলেটের অনুরোধ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা ইস্যু করতে সক্ষম হবেন গ্রাহক। তবে কবে নাগাদ এই ভিসা সুবিধা পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে এখনও কিছু বলা হয়নি। প্রিন্স সালমানের নতুন এই উদ্যোগের মধ্যে দেশটিতে গত ৪০ বছর ধরে নিষিদ্ধ থাকা সিনেমা এবং সংগীতানুষ্ঠানের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পশ্চিমা পপ তারকাদের দেশটিতে পারফর্ম করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান সংগঠিত করার অনুমোদনও দিয়েছেন তিনি। তবে সালমানের সমালোচনা কিংবা বিরোধিতা করায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত বহু মানবাধিকার কর্মী, বুদ্ধিজীবী এবং ধর্মীয় যাজককে আটক করা হয়েছে।
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা এবং ইয়েমেনের যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে সউদী আরবকে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবুও ডিসেম্বরে যখন নতুন এই ভিসা ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়িত করা হয়েছিল, তখন বহু পশ্চিমা দেশ সউদী ভ্রমণের এই সুযোগ কাজে লাগায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।