প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউড মানেই থাকবে রোম্যান্স, থাকবে ভালবাসা, থাকবে ভরপুর অ্যাকশন। এক একটি চলচ্চিত্র দর্শকদের মনে এক এক ভাবে দাগ কেটে যায়। কোন চলচ্চিত্রের অ্যাকশন ভালো আবার কোন চলচ্চিত্রের গান ভালো, কোন চলচ্চিত্রের গল্প ভালো তো কোন চলচ্চিত্রে রয়েছে ফাটাফাটি রোম্যান্স। তবে এমন কিছু চলচ্চিত্র আছে যেগুলিতে গান, অভিনয়, গল্প সব ভালো হলেও কিছু বিশেষ মুহূর্ত বা বলা ভালো নায়ক নায়িকার ভালোবাসা ব্যক্ত করার দৃশ্য মন ছুঁয়েছে দর্শকের। তাই চলচ্চিত্র গুলো পুরনো হয়ে গেলেও নতুন রয়ে গিয়েছে সেই সব দৃশ্যগুলো।
কাল হো না হোঃ
শাহরুখ খান বলিউডে পরিচিত রোম্যান্টিক হিরো হিসেবেই। তার ফিল্মি ক্যারিয়ারে এক অন্যতম রোম্যান্টিক চলচ্চিত্র হলো করণ জোহর পরিচালিত ‘কাল হো না হো’। আর সব থেকে বেশি প্রচলিত চলচ্চিত্রের সেই বিশেষ দৃশ্যটি যেখানে শাহরুখ খান, সাইফ আলী খানের হয়ে নিজের মনের কথা ডায়েরি দেখে নয়না ওরফে প্রীতি জিন্টার কাছে ব্যক্ত করতে থাকে। সব থেকে রোম্যান্টিক তখনই হয় যখন দেখা যায় সেই কথাগুলির কোনটিই ডায়েরিতে লেখা থাকে না যা শাহরুখ নিজের মন থেকে বলতে থাকে তার নায়িকাকে। তাই চলচ্চিত্রটির ডায়লগের সঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে কিং খানের অভিনয় সেই দৃশ্যটিকে আজও করে রেখেছে চির নতুন।
ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানিঃ
একেবারে শেষের দৃশ্যটিই দর্শকদের কাছে নতুন করে হিট করে দেয় রণবীর-দীপিকার জুটিকে। যেখানে একদিকে দেখানো হয় একটা বছরের শেষ, অন্যদিকে দেখানো হয় নতুন বছরের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বানি ওরফে রণবীর কপুর ও নয়না ওরফে দীপিকা পাড়কোনের নতুন জীবনের শুরু। দেখানো হয় কীভাবে রণবীর তার অ্যাম্বিশনকে পাশে রেখে দীপিকার সঙ্গে সংসার করতে রাজি হয়েছিলেন। এবং নায়ক নায়িকার সেই রোম্যান্টিক দৃশ্যই দর্শকের মনে থেকে গিয়েছে আজও।
মুঝসে শাদি কারোগিঃ
‘মুঝসে শাদি কারোগি’ চলচ্চিত্রে দেখানো গোটা স্টেডিয়াম ভর্তি লোকের সামনে সমীর অর্থাৎ সালমান খানের প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ওরফে রানিকে প্রপোজ করার দৃশ্যটি আজও মনে থেকে গিয়েছে সকলের।
রব নে বানাদি জোড়িঃ
বলিউড বাদশার আরও একটি রোম্যান্টিক চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘রব নে বানাদি জোড়ি’। যেখানে আই লাভ ইউ এর বদলে শাহরুখকে তার স্ত্রী তানি অর্থাৎ অনুষ্কা শর্মাকে বলতে দেখা গিয়েছে,‘তুঝমে রব দিখতা হ্যা’। আর সেই চলচ্চিত্রের পর থেকে শুধু এই দৃশটিই নয়, ডায়লগটিও একইভাবে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে দর্শকের মনে।
জানে তু ইয়া জানে নাঃ
নির্দিধায় একটি টিনএজ লাভস্টোরি দেখানো হয় এই চলচ্চিত্রে। তবে পুরো চলচ্চিত্র জুড়ে ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের দ্বন্ধ¦ দেখালেও শেষ দৃশ্যে একটি বিমানবন্দরে নায়িকাকে আটকাতে প্রপোজ করার সেই দৃশ্যটি এখনও অনন্য দৃশ্য হয়ে থেকে গিয়েছে দর্শকের হৃদয়ে।
কুছ কুছ হোতা হ্যাঃ
এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেই বলিউডে ডেব্যু করেছিলেন করণ জোহর। চলচ্চিত্রটির ডায়লগ ‘কুছ কুছ হোতা হ্যা অঞ্জলি তুম নাহি সামঝোগি’ যেমন এখনও দর্শকের মুখে মুখে চির নতুন। তেমন এই চলচ্চিত্রের শেষে রাহুল অঞ্জলির প্রপোজাল দৃশ্যও একই ভাবে হিট দর্শকের মনে। যেখানে কোন কথা না বলেই ইশারায় নিজদের মনের কথা একে অপরকে বলেছিলেন শাহরুখ-কাজল।
জন্নতঃ
ইমরান খান অভিনীত জন্নত চলচ্চিত্রটির মূল বিষয়বস্তুটি সকলের মনে না থাকলেও চলচ্চিত্রটিতে দেখানো নায়ক-নায়িকার অপরিসীম রোম্যান্স ও ভালোবাসা মন ছুঁয়ে গিয়েছে দর্শকের। তাই এই চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি নায়িকাকে রাস্তায় সকলের সামনে প্রপোজ করার দৃশ্যটি এখনও চিরনতুন দর্শকদের মনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।