পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ ও চুলায় সব সময় পর্যাপ্ত চাপে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে জাতীয় ক্লাবের সমানে বাসদ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে বাসাবাড়িতে প্রিপেইড মিটার সরবরাহ, গ্যাস খাতে দুর্নীতি অপচয় বন্ধ এবং মালিকানা নিশ্চিত করে স্থলভাগে ও সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলনে ব্যবস্থা নেয়ার ৫ দফা দাবিনামা জানানো হয়। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন বেশ কিছু এলাকায় দিনের বেলায় পর্যাপ্ত চাপে চুলায় গ্যাস পাওয়া যায় না। রান্না করতে যে কী কষ্ট করতে হয় তা ভুক্তভোগীরা জানেন। গ্যাসের চাপ কম থাকলেও গ্যাসের দাম কিন্তু কম নয়। এক বার্নারের ক্ষেত্রে ৮৫ ঘনমিটার এবং দুই বার্নারের ক্ষেত্রে ৯২ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহারের দাম নেয়া হয়। কিন্তু তিতাস গ্যাস কোম্পানির হিসেব অনুযায়ী ১ বার্নারে গ্যাস সরবরাহ হয় ৪৫ ঘনমিটার এবং ২ বার্নারে গ্যাস সরবরাহ হয় ৪৭ ঘনমিটার। অর্থাৎ গ্যাসের দাম নেয়া হয় দ্বিগুণেরও বেশি। তারা বলেন, ১২ কেজির ১টি সিলিন্ডারে গ্যাস থাকে ১৬ ঘনমিটার। বর্তমানে সিএনজি পাম্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি হয় ৩৮ টাকায়। তাহলে ১ সিলিন্ডার গ্যাসের দাম হওয়ার কথা ৬০৮ টাকা। কিন্তু বাজারে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ১১০০/ ১২০০ টাকায়। এসব বিষয়ে সরকার ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নীরব। অথচ কোন যুক্তি ছাড়াই আবারও গ্যাসের দাম দুই চুলায় ৮শ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২শ টাকা করার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, গণশুনানিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা না করে সরকারের দাম বাড়ানোর ইচ্ছাই কার্যকর করা হয়। ১১ মার্চ ২০১৯ গণশুনানিতে দাম বাড়ানোর এই প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।
বাসদ নগর শাখার সদস্য সচিব জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, নগর সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন, আহসান হাবিব বুলবুল ও শম্পা বসু। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তোপখানা রোডে এসে শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।