পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারত-পাকিস্তান যদি যুদ্ধ লাগে তাহলে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ইসরাইলি অস্ত্র। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের প্রতিরক্ষা বিষয়ক মূল অংশীদার হয়ে উঠেছে ইসরাইল। ভারতে সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্রাগারকে আধুনিক কর্মসূচির অধীনে এনে তাকে আরো আধুনিকায়ন করার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রযুক্তিগত ভূমিকা রাখছে ইসরাইল। এ খবর দিয়েছে ইসরাইলের পত্রিকা জেরুজালেম পোস্ট অনলাইন।
সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রুত। তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০০ কোটি ডলারে। ভারতের অস্ত্রবাজারে ইসরাইলের বিভিন্ন পর্যায়ের বড় বড় অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সুযোগ খুঁজেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ইসরাইল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (আইএআই), রাফায়েল এডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস, ইসরাইল মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিজ (আইএমআই) এবং এলবিট। গত এক দশকে অস্ত্র কেনাবেচা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০০৩ সালে আইএমআই ভারতের কাছে ট্যাংক-শেল সরবরাহের জন্য স্বাক্ষর করেছে ২ কোটি ডলারের চুক্তি। এ ছাড়া ইসরাইলের কাছ থেকে নয়া দিল্লি কিনেছে টেভর রাইফেল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ভারতের কাছে মোট ১৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে ইসরাইল।
২০১৭ সাল নাগাদ ভারতের অস্ত্রবাজারে মোট যে পরিমাণ অস্ত্র আসে তার শতকরা ৪৯ ভাগই হলো ইসরাইলি। ২০১৭ সালে এক রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্স। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভারত সফর করেন। এ সময়ে তার সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল অস্ত্র বিক্রি নিয়ে আলোচনা।
ব্যবসা বিস্তৃত হলেও সবকিছু মসৃণভাবে অগ্রসর হচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য ২০১৬ সালে যে ৫০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছিল তা বাতিল করেছে ভারত। আইএআই ও রাফায়েলের সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তি ভারত বাতিল করেছে ২০১৬ ও ২০১৮ সালের মধ্যে। এ ছাড়া তারা ২০০৯ সালে আইএমআইয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তাদেরকে নিষিদ্ধ করেছে, যদিও রিপোর্ট আছে যে, ২০১৪ সালে ভারতের বাজারে ফিরেছে আইএমআই।
ভারতীয় মিডিয়ার খবর অনুযায়ী ইসরাইলে তৈরি স্পাইস কিট ব্যবহার করে তৈরি বোমা গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে ফেলে ভারতীয় বিমানবাহিনী। ফ্লাইট গ্লোবালের মতে, স্পাইস ১০০০ নির্দেশিত বোমা ভারতকে সরবরাহ করে ইসরাইল ৩৬ ডেসল্ট রাফায়েলস। এ ছাড়া ভারতের তেজাস জেটের জন্য সরবরাহ করা হয় স্পইস ২৫০। রাফায়েল এডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম থেকে ভারতের জন্য এটা ছিল একটি বড় বিপ্লব। দেয়া হয়েছিল পাইথন-৫, আই-ডারবি ইআর আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, লিচেনিং ৫ টার্গেটিং পড। ২০১৬ সালের একটি আর্টিকেল অনুযায়ী, এসব চুক্তির মূল্য ৫০ কোটি ডলার।
২০১৭ সালে আই-এইচআইএস এক প্রতিবেদনে বলে, তেজাহ’র জন্য এক স্টোয়াড্রন যুক্ত হবে রাফায়েল আই-ডারবি আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে। স্থানীয় ইন্ডিয়ান ডিআরডিও কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির অধীনে এগুলো দেয়ার কথা বলা হয়।
ভারতের স্থল বাহিনী তাদের বিভিন্ন রকম অস্ত্রের আধুনিকায়নে ইসরাইলি অস্ত্র চেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫৫ এমএম বন্দুক, এর সঙ্গে রয়েছে ইসরাইলের ট্রফি একটিভ প্রটেকশন সিস্টেম। ২০১৮ সালে এলবিট এবং অশোক লেল্যান্ডের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর অর্ধীনে অশোক লেল্যান্ডের চাকাযুক্ত যানের জন্য আর্টিলারি গান দেয়ার কথা বলা হয়।
হুমকি থেকে রক্ষার জন্য ভারতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো রাডার। ২০১৮ সালের অক্টোবরে নয়া দিল্লি আইএআই-এর এলটা সিস্টেমের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর অধীনে ৮৩ টি এএলএম-২০৫২ রাডার ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সুট দেয়ার কথা বলা হয়। এ ছাড়া ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৫৫ কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে আইএআই। তাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য স্কাই ক্যাপচার কমান্ড ও এন্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম কন্ট্রোলের জন্য চুক্তি হয়।
সমুদ্রেও শক্তিশালী ভারত। ২০১৫ সালে ভারতের নৌবাহিনী আইএআইয়ের বারাক-৮ এর সঙ্গে একটি সফল চুক্তি করে। ভারতে ডিআরডিও’র সঙ্গে যৌথভাবে তারা এএ রাডার, কমান্ড ও কন্ট্রোল সিস্টেম তৈরি করে। ক্ষেপণাস্ত্র লাঞ্চার তৈরি করে। ২০১৯ সালে আইএআই ঘোষণা করে ৯ কোটি ৩০ লাখ ডলারের অতিরিক্ত একটি চুক্তির। এর অধীনে মধ্যম মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এগুলো ভারতের আকাশসীমাকে নিরাপত্তা দেবে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে সম্পাদিত ৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের চুক্তি হয়। এর অধীনে সাতটি জাহাজ দেয়ার কথা হয়। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ভারতের ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের সঙ্গে।
ইসরাইলের এলবিট নামের প্রতিষ্ঠানটি আরো চুক্তি স্বাক্ষর করে আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেসের সঙ্গে। এর অধীনে রয়েছে হার্মিস ৯০০ এবং হার্মিস ৪৫০, ইউএভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।