মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের শাসক দলের বিরুদ্ধে সেনার আত্মত্যাগ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিরোধী জোটের অন্যতম নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে জঙ্গিঘাঁটি আদৌ বোমা দিয়ে ওড়ানো হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অবশ্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রতিনিধিরা এক সংবাদ বৈঠকে দাবি করেছেন, পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের যথেষ্ট প্রমাণ ভারতীয় সেনাদের হাতে রয়েছে। এর আগেই কলকাতায় নবান্ন থেকে বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ইঙ্গিত করে বলেছেন- যুদ্ধ, যুদ্ধ করছে। মিডিয়া যুদ্ধ করছে। আজ পর্যন্ত বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে একটাও বৈঠক করেন নি। পালওয়ামার ঘটনার পর মঙ্গলবার এয়ার স্ট্রাইকে কত জন এবং কারা মারা গেছে, জানতে চাই। আসল ঘটনা কী, এই প্রশ্নও করেছেন মমতা। পালওয়ামার জঙ্গি হানার ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও ইঙ্গিত করেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, আগাম সতর্কতা থাকলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
গত মঙ্গলবার ভোরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বালাকোটে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। ভারতের দাবি হাজার কেজি বোমা ফেলা হয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে। প্রায় তিনশ’ জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে বলে দাবি করে ভারত। নাম না করেই নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশমাতাকে ভালোবাসি। জওয়ানদের রক্ত নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। ভোটের ফায়দা তোলার জন্য রাজনীতি হচ্ছে। মমতা অভিযোগ করেছেন, গত পাঁচ চবছরে কিছুই করা হয়নি। পাঠানকোট ও উরিতে হামলা হয়েছে। অথচ কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উরির হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল বাহিনী। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে মমতার কটাক্ষ, ধিতাংধিতাং করে সমস্ত টিভি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে বিপথে চালিত করা হচ্ছে। মমতা আরো বলেন, ওয়াশিংটন পোস্ট, রয়টার্সের মতো বিদেশি সংবাদমাধ্যম বলছে, এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বোমায় মানুষ মারা যায়নি। কেউ বলছে একজন মারা গেছে। সত্যটা কী? আমরা সেনার সঙ্গে আছি। আমরা চাই, সেনাকে সত্যি কথাটা বলার সুযোগ করে দেয়া হোক। রাজনীতির প্রয়োজনে যুদ্ধ চাই না। নির্বাচন জেতার জন্য যুদ্ধ চাই না। এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পাক সেনাবাহিনী ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সকলকে বিপথে চালিত করতে চেয়েছে। বলা হয়েছিল, তিন বিমান সেনা পাইলটকে ধরতে পেরেছে পাকিস্তান। এই তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান বলেছিল, তিনটি ভারতীয় বিমান ধ্বংস করেছে ওরা। এই তথ্যও সর্বৈব মিথ্যা। সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনার দাবি, পাক হামলায় ভারতের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ভারতীয় সেনার মতে, ২ দিনে ৩৫ বার সংঘর্ষ বিরতি করেছে পাকিস্তান। ভারতে এসে বোমা ফেলেছে পাক যুদ্ধবিমান। আর পাক যুদ্ধবিমানের টার্গেট ছিল ভারতের সেনাঘাঁটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।