পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশন পয়লা মার্চ ‘ভোট দিবস’ পালন করবে। ইসি ‘নিজে ভোটার হোন, অন্যকে ভোটার হওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন’ মেসেজ কোটি কোটি মোবাইলে পাঠাচ্ছে। এবার ভোট দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভোটার হব ভোট দেব’। অথচ দু’দিন আগের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটির উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় দায় সিইসি কে এম নূরুল হুদা চাপিয়েছেন অন্যের ওপর। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন ভোটের পরিবেশ তৈরি করে, ভোটার আনে না। দুই সিটির নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমের দায় ইসির নয়। দায় প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর’। সিইসির এই বক্তব্যের সঙ্গে ভোট দিবসের প্রতিপাদ্য কী যায়?
দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় ঢাকা থেকে। সেই ঢাকার ভোটাররা সিটি নির্বাচনে ভোট দেয়ার আগ্রহ দেখাননি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ৪৯৭৭ জন। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জানান, ‘প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ৮৬টি’। বাকি ৫ ঘণ্টায় কত ভোট পড়েছে তা সহজেই অনুমেয়। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটের চালচিত্র কার্যত অভিন্ন। প্রশ্ন হচ্ছে ভোটার কেন ভোট দিতে যাচ্ছেন না? সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘৩০ ডিসেম্বর বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে মানুষের মধ্যে ভোট দেয়ার আগ্রহ কমে গেছে’। গতকালের ভোটকেন্দ্রের চিত্র দেখে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘দুই সিটির এই ভোট অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নয়’। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ঢাকার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হচ্ছে না, তবে শান্তিপূর্ণ হচ্ছে’। তাহলে কী শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বর্তমান সময়ে জনগণের প্রতিনিধি বেছে নেয়ার মানদন্ড?
উপরে যে চিত্র তুলে ধরা হলো এটাই বাস্তবতা। সিইসি বলেছেন, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব ইসির নয়; ইসি ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করে’। প্রশ্ন হলো সিইসি যে দু’টি বক্তব্য দিয়েছেন তা কী সত্য? নির্বাচন কমিশন সত্যিই কী নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছে? ইসি যদি দেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে তাহলে বিগত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হলো কেন? ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের প্রচারণায় নামতে দেয়া হয়নি কেন? কেন বহু প্রার্থীকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়েছিল? ভোটের আগের রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ব্যালটে সিল মেরে ভোটের বাক্স অর্ধেক ভর্তি করা হয়েছে কেন? ইসিকে কী জনগণ ভোট দিতে পারে সে ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে? ‘ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে’ ভোটের দিনই এমন হাজার হাজার অভিযোগ ইসিতে জমা দেয়া হয়। ইসি কী কোনো একটি অভিযোগ তদন্ত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে? আর ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার দায়িত্ব ইসির না হলে পহেলা মার্চ ভোট দিবস পালন করা হচ্ছে কেন? আবার ভোট দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘ভোটার হব ভোট দেব’। এগুলো কী সিইসির স্ববিরোধী কথাবার্তা নয়? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে এমন স্ববিরোধী বক্তব্য দেয়া কতটুকু সমীচিন? রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন নেতৃত্ব অযোগ্যের হাতে তুলে দেয়া হয়, তখন কিয়ামত অপেক্ষা করে’ (বুখারী, হাদীস ৬৪৯৬)। আমরা কী কিয়ামতের দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছি? নাহলে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে এমন মেরুদন্ডহীন, দায়িত্বহীন ব্যক্তিরা জেঁকে বসবে কেন?
‘স্যার ওদিকে যাওয়া যাবে না, আওয়ামী লীগের ভোট হচ্ছে’। বাসা থেকে বের হতেই গতকাল এক রিকশাওয়ালার মুখে এ কথা শুনে অবাক হতে হলো। যে যাত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিকশাওয়ালা মন্তব্য করলেন, তিনি রিকশা থেকে নেমেই বললেন, ‘তাইতো! আমার উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন’। গতকাল রাজধানীর শনিরআখড়ার এই ঘটনা। সিটি কর্পোরেশনের ভোট হচ্ছে অদূরে বর্ণমালা স্কুল ভোটকেন্দ্রে। কমিশনার পদে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সরেজমিন যে কয়েকজন ভোটার দেখা গেল তারা আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং আশপাশের বস্তিবাসী। আওয়ামী লীগের বাইরে কোনো মতাদর্শের প্রার্থী নেই; ভোটারের দেখাও নেই। গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে রিকশা চালাতে আসা রিকশাওয়ালার কথাই সত্যি ‘আওয়ামী লীগের ভোট’। বিজ্ঞানের বদৌলতে তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে মানুষ চাঁদের দেশে জমি কিনছে; মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার চেষ্টা করছে; তখন ’৭১ এ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশের জনগণ নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে! নির্বাচন এবং ভোট দেয়া-ভোটা চাওয়া যেন ভোট শুধু একটি রাজনৈতিক দলের বিষয় হয়ে গেছে!
অশিক্ষিত (!) রিকশাওয়ালার ‘আওয়ামী লীগের ভোট’ বক্তব্য; দেশের বর্তমান নির্বাচনগুলোর দিতে তাকালে বাস্তবতায় চোখে পড়ে। দেশের ৪৯৩টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১০ মার্চ থেকে এই নির্বাচন শুরু হবে। সারাদেশের উপজেলাগুলোয় ৫ দফায় হবে ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় প্রার্থী এবং নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন শুধুই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রার্থী দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য মতাদর্শের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী তো নেই; এমনকি সাধারণ মানুষও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে প্রার্থী হচ্ছে না। অথচ উপনিবেশিক শাসনামলে ১৯৩৭ সালে যখন এই উপমহাদেশে জনগণের ভোটে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ‘নির্বাচন’ করার রেওয়াজ চালু হয়; তখন থেকেই স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষিত যুবক, সমাজের বৃত্তবান, দানশীল ব্যক্তি এবং নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মীরা নির্বাচনে প্রার্থী হতেন। স্থানীয় উন্নয়ন এবং সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে মানুষ নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতেন। এক যুগ আগেও সব দল, মত পথের মানুষ এবং সমাজের বৃত্তবান-সমাজপতি-শিক্ষিত সমাজ স্থানীয় সরকার পরিষদ তথা উপজেলা, ইউনিয়ন এবং পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতেন; ভোটের প্রচারণা হতো জমজমাট। নির্বাচন কেন্দ্র করে পাড়ায়-মহল্লা, মফস্বল শহর থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত উৎসবের নগরীকে পরিণত হতো। কিন্তু বর্তমান ঢাকা দুই সিটিই নয়, উপজেলা নির্বাচনগুলোতে শুধুই আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা প্রার্থী হচ্ছেন এবং তাদের কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্য মতাদর্শীরা ভোটে না আসায় প্রায় অর্ধশত উপজেলায় বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান হওয়ার পথে রয়েছেন। এখন তাদের নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারাদেশে যে বিরোধ, সংঘাত-সংঘর্ষ, মিটিং-মিছিল হচ্ছে সবগুলোই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীক। অন্য রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হওয়ার পরও সে সময়ের সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তবে তার আগে ৫ দফায় সারাদেশে উপজেলা নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে প্রথম দুই ধাপের উপজেলা পরিষদের ভোটে বিএনপি ও জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ব্যাপকভাবে বিজয়ী হলে তৃতীয় দফায় ব্যাপক কারচুপি করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী করা হয়। ওই সময় সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ ‘লজ্জাবোধ’ থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে বিদেশ চলে গেলে পরবর্তী ধাপে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জোরদবরদস্তি করে বিজয়ী হন। সেই কাজী রকিবের নির্লজ্যতাও যেন এখন হার মেনে যাচ্ছে। দেশে এখন যেন নির্বাচন মানেই এক দলীয় আওয়ামী লীগের নির্বাচন হয়ে গেছে। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিইসি কে এম নুরুল হুদা স্ববিরোধী কথাবার্তায় রেকর্ড গড়লেও তিনি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নেয়ার লক্ষ্যে যে প্রতিশ্রুতি দেন তার কোনোটিই পূরণ করেননি। খোলা চোখে দেখলে কার্যত নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর পুরো নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অধীনে চলে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যা বলেন নির্বাচন কমিশন সেই সুরে কথা বলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তার ব্যতিক্রম দেখা গেল না।
কাল মার্কসের দর্শন হলো ‘রাষ্ট্র হচ্ছে একটি বলপ্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এবং এটি ধনিকশ্রেণীর (বুর্জোয়া) দখলে’। আমরা যদি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের দিতে তাকাই দেখবো মার্কসীয় দর্শনেই চলছে নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়-দায়িত্ব পালনের দোহাই দিয়ে বলপ্রয়োগ করে ভোটারদের কাবু করে রাখছে। অথচ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে আরপিওতে লেখা যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যাবশ্যক সেদিকে হাঁটছে না। রাজনৈতিক দলগুলো স্থানীয় নির্বাচনে কেন প্রার্থী দিচ্ছে না; কেন সাধারণ মানুষ তথা সমাজের বৃত্তবান, সমাজপতি, দানশীল ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন তা নিয়ে ইসির মাথাব্যথা নেই। ভোটাররা কেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তা নিয়েও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনবোধ করছে না ইসি। শুধু জনগণের ট্রাক্সের শত শত কোটি টাকা খরচ করে সাংবিধানিব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করছেন। বিনিময়ে বেতন-ভাতার বাইরেও বাড়তি সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। জনগণের অর্থে পিঠা উৎসব-পিকনিক করছেন। ভোটপাগল মানুষের এই দেশে নির্বাচনী বিধিমালায় যে ধারাগুলো রয়েছে ইসি সেগুলো কার্যকরভাবে প্রয়োগ করলে জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেত; ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে যেত। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠতো। সে পথে না গিয়ে শুধু ক্ষমতাসীনদের খুশি রাখতে মেরুদন্ডহীনের মতো নির্বাচনের আয়োজন করছে; আবার ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না আসার দায় রাজনৈতিক দলগুলোর উপর চাপাচ্ছে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার দায় নির্বাচন কমিশনের না হলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে পহেলা মার্চ ‘ভোট দিবস’ পালনের প্রয়োজন পড়লো কেন? ‘ভোটার হব ভোট দেব’ ক্যাম্পেইনে অর্থ ব্যয় করে ‘নিজে ভোটার হোন, অন্যকে ভোটার হওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন’ প্রচারণায় কেন নামছে ইসি? ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও ক্ষমতাসীন দলের অনুগত জাতীয় সংসদের কৃতিমবিরোধী দলের প্রার্থীর ভোটের পার্থক্য বলে দেয় নির্বাচনের নামে কী হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।