গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের লে-আউট প্ল্যান (নকশা) বহির্ভূত রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে লে-আউট প্ল্যান বহির্ভূত কোনো স্থাপনা তৈরি করা না হয় সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের কেন আদেশ দেয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর এইচআরপিবি’র এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের নকশা বহির্ভূত স্থাপনা ৭ দিনের মধ্যে অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নকশা বহির্ভূত স্থাপনা অপসারণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছিলেন। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাতিরঝিলের নকশা বহির্ভূত কিছু প্রতিষ্ঠানের মালিক আপিল বিভাগে আবেদন জানান। ওই আবেদনের শুনানি করে গত বছরের ১৪ অক্টোবর স্থাপনা অপসারণের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের জারি করা রুল দু’মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন।
পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, নকশা বহির্ভূত স্থাপনা উচ্ছেদের ওপর আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা জারি করে রুল নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছিলেন। এখন রুল নিষ্পত্তি করা হবে। কিন্তু রুলে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলার বিষয়টি ছিল না। তাই এক সম্পূরক আবেদনে হাতিরঝিলের নকশা বহির্ভূত স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে নতুন রুল জারি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।