Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃটিশ সরকারের সঙ্গে একমত শামীমার পিতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:২৫ পিএম

বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের সঙ্গে একমত পোষণ করলেন আইএসে যোগ দেয়া শামীমা বেগমের পিতা আহমেদ আলী (৬০)। তার কন্যা শামীমার বৃটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার সঙ্গে একমত পোষণ করে আহমেদ আলী বলেছেন, তিনি সরকারের পক্ষে আছেন। কারণ, তার জিহাদী মেয়ে ২০১৫ সালে বৃটেন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় যেয়ে ডাচ নাগরিক ও আইএস যোদ্ধা ইয়াগো রিডিজককে বিয়ে করার জন্য কোনো অনুশোচনা দেখায় নি।
আহমেদ আলী মেইল অন সানডেকে বলেন, আমি জানি বৃটিশ সরকার তাকে ফেরত আনতে চায় না। তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি জানি সে সেখানে আটকা পড়ে আছে। এমনটা হয়েছে, সে যে কাজ করেছে তার জন্য। তিনি আরো বলেন, আমি বলবো না (বৃটেনে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত) ঠিক না ভুল। তবে যদি দেশের আইন বলে, তার নাগরিকত্ব বাতিল করা যথার্থ তাহলে আমি তাতে রাজি আছি।

উল্লেখ্য, আহমেদ আলী ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ থেকে বৃটেনে যান। সেখানে তিনি টেইলারিং শুরু করেন। বর্তমানে অবসরে আছেন। তিনি বৃটেনে যাওয়ার সাত বছর পরে বিয়ে করেন আসমাকে। তিনিই শামীমার মা। তারা বসতি গড়েছেন পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিনে। তাদের রয়েছে চারটি মেয়ে। তার মধ্যে সবচেয়ে ছোট শামীমা।
আহমেদ আলী ১৯৯০ এর দশকে ঘন ঘন বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি পরিবার থেকে দূরে থেকে অনেকটা সময় কাটান। দ্বিতীয় বিয়ে করেন। শামীমার সঙ্গে তার সর্বশেষ দেখা হয় ২০১৫ সালের মার্চে। তখন তিনি বৃটেন সফরে গিয়েছিলেন। এরপরেই শামীমা সিরিয়ায় পালিয়ে যান।
আহমেদ আলী বলেছেন, তিনি কখনো তার মেয়ের মধ্যে এমন কোনো লক্ষণ দেখতে পান নি, যা দেখে মনে হতে পারে সে উগ্রবাদী হয়ে উঠছে। এমনকি তাকে দেখে অন্য রকম কিছুই মনে হয় নি। তার দাবি, শামীমা বরং ইসলামিক ধ্যানধারণায় নেই বলেই মনে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যদি শামীমা অন্ততপক্ষে স্বীকার করতো যে, সে ভুল করেছে, তবে তার জন্য আমার দুঃখবোধ হতো। অন্যরাও তার জন্য দুঃখবোধ করতেন। কিন্তু শামীমা তার ভুল মেনে নেয় নি।



 

Show all comments
  • মোঃ মোবারক হোসেন ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:০২ পিএম says : 0
    প্রথমতো বলতে চাই আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর বিদায হজ্বের মাধ্যমে নবী-রাসূলদের আগম ও আসমানি কিতাব নাজীলের পথ বন্ধ হয়েগেছে তিনি যা রেখেগেছেন আমাদের মাঝে তা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি তাহলে এরকম অবস্থা হতো না । মানুষ যখন কর্তিত্তর স্বাদ পায় তখন সে সৃষ্টিকর্তার কথা ভুলে যেতে চায় যা তার ধয়ংশের কারন সমুহের একটি । তরুণ-তরুণী কিনতু শিশুদের পরের স্তর কাচা কাদা মাটির মত তাদের কে যে দিকে নেওয়া যায় বা গরা যায় তাতেই সে পরিনত হয়। আমি যদি ভালো হতে চায় আর আমার পরিবেশ ও সমাজ ব্যবস্থা যদি ভালো থাকে তাহলে আমি তা করতে সক্ষম হবো। যুগে যুগে ইহুদি-খৃষ্টানরা মুসলমানদের ভিতরে ঝামেলা তৈরির সুযোগ করে দিয়েছে। তাই শেষে একথায় বলতে চাই তাহলো বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির সময় পুরো বিশ্বটা এখন এ ছাদের নিচে আশার সুযোগ পাচ্ছে যা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি আরও কাছ থেকে উপলব্ধি করার সুযোগ বই কি? তাই চাইবো বর্তমানে কোন দেশ বা রাস্ট্র কে যদি দখল বা শোষন করতে চায় তাহলে জুুঙ্গী তৈরি করার সুযোগ ও সহযোগীতা করো তারপর দমনের নামে শোষণ করো :( । মানুষের চাহিদা তখনই শেষ হবে যখন মাটির মানুষ মাটিতে লূটাবে । তাই আর নয় যুদ্ধ হত্যা যোগ্য যার যার ধর্ম তার তার কর্ম যদি কিনা সেই কর্ম অন্যধর্মের মানুষের ক্ষতি না করে । পৃথিবীকে যদি বেশি দিন টিকে রাখতে চায় তাহলে সৃষ্টিকুলের সেবা করতে হবে অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা যাবে না বা ক্ষতি সাধন করা যাবে না । আর তথ্য প্রযুক্তির কিছু খারাপ দিক হলো কোন জাতীকে যদি ধয়ংশ করতে চাও তাহলে মাদকের মত খারাপ খোলামেলা যৌন কিছু দেখাও ও আসক্ত করো তাই সবাই সযাগ থাকবো এরকম খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ