পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩০ ডিসেম্বর দেশে কোন নির্বাচন হয় নাই। যা হয়েছে তাকে নির্বাচন বলা যায় না। সেটা নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। সারাদেশে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় ২৯ তারিখ দিবাগত রাতে ব্যালটে নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভরা হয়েছে। ভোটের দিনও ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। অনেক স্থানে এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন আওয়ামী লীগ করেনি, করেছে পুলিশ আর প্রশাসন। আর নির্বাচন কমিশন পুলিশের অধীনে কাজ করেছে। ধানের শীষের নেতাকর্মীদের নামে গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ সারাদেশে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পুলিশ প্রশাসনের এমন নির্লজ্জ পক্ষপাতের নির্বাচন বিশ্ববাসী এর আগে কোথাও দেখেনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত গণশুনানিতে বক্তরা এভাবেই ভোট ডাকাতির চিত্র তুলে ধরেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এই গণশুনানি শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে পাাঁচটায় শেষ হয়।
ঐক্যফ্রন্টের আহŸায়ক ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণশুনানির বিচারক প্যানেলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক বিচারক আ ক ম আনিসুর রহমান খান, এডভোকেট মহসিন রশিদ ও অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা গণশুনানীতে উপস্থিত ছিলেন। সময় স্বল্পতার জন্য সবাই বক্তব্য দিতে পারেননি। সারাদেশের ৩শত প্রার্থীর মধ্যে ৪১ জন প্রার্থী তাদের নিজ নিজ এলাকার ভোট ডাকাতি চিত্র এবং পুলিশের নির্যাতন ও হয়রানির বিষয় তুলে ধরেন। একই সাথে সব বক্তাই বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য জোরালো আন্দোলন কর্মসূচীর দাবী জানান। প্রার্থী এছাড়া গত নির্বাচনের আগে পুলিশের গুলিতে দু’চোখ হারানো সিরাজগঞ্জের একজন নারী কর্মী মেরি বেগম ও ঢাকার ওয়ারী থানার একটি কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট সোনিয়া আক্তার তার উপর নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে গর্ভবতী সোনিয়ার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনারও তিনি বর্ণনা দেন।
বক্তাদের বক্তব্য শেষে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি অত্যন্ত যুক্তিসংগত। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি হয়া উচিৎ। আজকে গণশুনানিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি একটা প্রধান দাবি হয়ে উঠে এসেছে। এটা নিয়ে এর আগেও জোরালো দাবি এসেছে। তাই অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি হওয়া উচিত। আমরা অবশ্যই তার মুক্তি চাই এবং এ বিষয়ে আন্দোলনও হবে। এটা দু:খজনক। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এই ধরনের দাবি আমাদের করতে হচ্ছে। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের মুক্তি চাইতে হচ্ছে।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, এটাকে নির্বাচন বলা যায় না, নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা বুঝতে পেরেছি এটা কোনো নির্বাচন হয়নি। এতে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আমরা এই অন্যায় মেনে নেইনি, আর নেবোও না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে আনতে পারি সেটা করতে হবে। যেনো স্বৈরাচারকে সরাতে পারি। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, ৪১ জন প্রার্থীর কথা শোনার পরে আমরা সবাই মনে করছি এটাকে কোনো নির্বাচন বলা যাবে না, এটাকে একটা প্রহসন বলা যেতে পারে। যেখানে সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে। দেশের নাগরিকদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে এসব দেখতে হচ্ছে। আর যে দলের নামে এগুলো হচ্ছে, সে দলটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দল। যে দল আমরাও করেছি। সেই দলের নামে এসব আমরা মেনে নিতে পারছি না। এটাকে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ বলা যাবে না। এতে আমরা লজ্জা পাই।
ড. কামাল বলেন, এগুলো না করে বলে দিক আমরা এক ব্যক্তির শাসন চালাতে চাই। এটা একদলীয় শাসনও না, এক ব্যাক্তির শাসন, যা ইচ্ছা তাই। দলের কোনো ভুমিকাও নাই। এখানে এক ব্যক্তি আর প্রশাসনের কিছু লোক।
প্রশাসনের লোকদের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, আপনারা যারা চাকরি করেন, তারা শুধু অবসরেই যাবেন না, মারাও যাবেন। তখন আপনাদের উত্তরসুরীরা আপনাদের নিয়ে লজ্জাবোধ করবে। এক সেকেন্ডের জন্যও আপনাদের নিয়ে তারা গর্ববোধ করতে পারবে না এটা আপনারা মনে রাখুন। আপনারা রাষ্ট্রের কাজ থেকে সরে গিয়ে সংবিধানের যে দায়িত্ব সেটা অমান্য করে এক ব্যক্তির সেবক হয়ে জীবন শেষ করছেন, আপনাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন, আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখুন। নিজের চেহারা দেখে ঘৃনা হওয়া উচিত। কোটি কোটি মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। নির্বাচনের নামে এগুলোতো করার প্রয়োজন ছিল না। কে বাধ্য করেছে এগুলো করতে। টাকা পয়সা যে ব্যয় হয়েছে সেগুলো অপচয়ের দরকার ছিল না। ড. কামাল বলেন, কোনোদিন এদেশে স্বৈরাচার চিরস্থায়ী হতে পারেনি। আমরাও কোনোদিন স্বৈরাচার সরকারের শাসন মেনে নেইনি। এই সরকার ও দীর্ঘদিন থাকতে পারবে না।
গণশুনানির শুরুতে ড. কামাল হোসেন বলেন, তারা বিচারক নন। বিচার করার ক্ষমতা তাদের নেই। বিচার হবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে। গণশুনানিতে যে বক্তব্য আসবে, তা পরবর্তী সময়ে বই আকারে প্রকাশ করার কথা জানান কামাল হোসেন।
গণশুনানির শুরুতে চকবাজারে আগুনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘটনায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন। এ সময় ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় সরকার যা ইচ্ছা তাই করছে। এ জন্য সরকারকে জবাবদিহিও করতে হয় না।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও গণফোরামের সভাপতিন্ডলীর সদস্য রেজা কিবরিয়া অভিযোগ করে বলেন, সাদাপোশাকে তাঁর কর্মীদের তুলে নেওয়া হয়। নির্বাচনের দেড় মাস আগে থেকেই কর্মীরা বাড়িছাড়া হয়েছেন।
শুনানিতে কুড়িগ্রাম-২ আসনের গণফোরাম ও ধানের শীষের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয় নাই। একটি কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট পড়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীরা ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে ফেলেছিল। সেদিন তারা ব্যালট নয় গনতন্ত্রকে পুড়িয়েছিল। সংবিধান ও জনগনের ভোটের অধিকারকে পদদলিত করেছে।
পিরোজপুর-২ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী লেবার পাটির্র চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এসব শুনানি করে কোন ফল পাওয়া যাবে না। আন্দোলনের কর্মসূচি দিন। রাজপথেই সমাধান সম্ভব। এই অবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলন।
সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু নির্বাচনের আগে তার এলাকায় মোড়ে মোড়ে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ধরণের সাদা পোশাকের বাহিনী কড়া নজরদারিতে রাখে। দিনভর কড়া নজরদারি আর হামলার ভয়ে তারা রাজনৈতিক কর্মকাÐ চালাতেই পারেনি। তিনি বলেন, ভোট ডাকাতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে, জয়ী হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জেএসডি নেতা সাইফুল ইসলাম জানান তারা এলাকায় বিএনপির জোয়ার দেখে মুগ্ধ হন। তিনি বলেন, সঠিক নির্বাচন হলে অবশ্যই ঐক্যফ্রন্ট জয়লাভ করতো।
বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি বলেন, নির্বাচনে তার সাথে দলের পুরুষ কর্মী রেখে বিপাকে পড়তে হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসনের সহায়তায় তাদের হাতুড়ি পেটা করত। আর এজন্য নারী কর্মী নিয়ে প্রচারণা চালাতে হয়েছিল বলে তিনি জানিয়ে বলেন, তাতেও লাভ হয়নি। তার নারী কর্মীদের উপরও হামলা করেছে। নির্বাচনী প্রচারনা চালাতে দেয়নি। প্রশাসনের সহায়তায় তারা ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে।
ধানের শীষের প্রার্থী আবুল হোসেন তার নির্বাচনী এলাকার বর্ননা তুলে ধরে বলেন, শুধু ঐক্যফ্রন্টই নয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ভোটারাও ভোট দিতে পারেনি। ভোটের আগের রাতেই ব্যালেট নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভরে রাখা হয়েছে। পরদিন আওয়ামী সমর্থক ভোটারারও ভোট দিতে পারেনি।
বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব জানে কিভাবে তার এলাকায় ভোট ডাকাতির মঞ্চয়ান হয়েছে। তিনি বলেন, এধরণের ঘটনায় সারা দেশের জনগণকে প্রতিবাদ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই পারবে জনগণের বিজয় ফিরিয়ে আনতে,গণতন্ত্র মুক্ত করতে। তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন কর্মসূচীর দাবী জানান।
গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, একের পর এক মামলা দিয়ে ঐকফ্রন্টের নেতাকর্মীদের কার্যত এলাকা ছাড়া করে দেয়ে নির্বাচনের অনেক আগেই। প্রশাসনের সহায়তায় তারা মসজিদের খতিব প্রবীন আলেমকে মামলা থেকে রেহাই দেয়নি। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কন্যা কুঁড়ি সিদ্দিকী বলেন, এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চোর হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। আর ঐক্যফ্রন্ট প্রকৃত অর্থেই বিজযী হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট মানুষের মন পেয়েছে আর আওয়ামী লীগ তাদের মন থেকে চিরতরে মুছে যাচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব জানান তার এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর রাতে একদফা ভোট কাস্ট হয়ে গেলেও প্রসাশন পুরোপুরি বিজয়ী হবার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল না। আর এজন্য দিনের বেলায়ও ভোট চুরি করতে কেন্দ্রে ভোট চুরি মহোৎসবে মেতে উঠে তারা। এধরণের কর্মকাÐে প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় তাকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের সহায়তায় কুপিয়েছে বলে জানান।
সিরাজগঞ্জের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রুমানা মাহমুদ অভিযোগ করেন, তাঁর প্রচার মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। গুলিতে তাঁর কর্মী মেরী বেগমের দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় তিনি মেরী বেগমকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন। মঞ্চে তাকে এবং তার বক্তব্য শুনে অনেকে অশ্রæ সংবরণ করে রাখতে পারেনি। মেরী বলেন, তাঁকে ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, নয়তো চোখ ফেরত দিতে হবে। মেরি বেগম বলেন, জেলায় জেলায় গণ আদালত বসিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ওই আদালতে জনগণ তার রায় দেবে। এক দফা কর্মসূচি দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার দাবি জানান তারা।
যশোর (৩ আসন) প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, নির্বাচনের আগে আমার উপর তিন দফায় হামলা হয়েছে, আমার এক হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, ভোটের দিন সকাল ১০ টার মধ্যে সব ব্যালট শেষ হয়ে যায়। এটা কিসের ভোট হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট ডাকাতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নরসিংদী থেকে ঐকফ্রন্ট প্রার্থী বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন বলেন, নির্বাচনে অনের আগে তেকে তার এলাকায় প্রশাসন এমনভাবে এলাকা কর্ডন করে রাখে যেনো কেউ কোন প্রচারণাও চালাতে না পারে। তিনি বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ারে ভয়ে তারা সারা দেশেই এক ভীতিকর পরিস্থিতির তৈরি করে।
বরিশাল-৪ আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর জানান কিভাবে তাকে ও তার নেতাকর্মীদের বেদম প্রহার করা হয়েছে। আর মামলা জালে ফেলে নেতাকর্মীদের ঘর ছাড়া বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে।
গণশুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
গণশুনানি অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক ও শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।