Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ফেরা হলো না লিপুর

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : অন্যান্য দিনের মতোই স্ত্রী নাসরিন আক্তার আর ৮ বছরের ছেলে আফতাহীকে নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে বাসায় ফিরছিলেন বেসকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সালেহ মোহাম্মদ লিপু। এক রিকশায় বাসায় ফিরছিলেন তারা। সর্বশেষ বাসা থেকে তিন মিনিট দূরত্বে আটকে ছিলেন যানজটে। এরপর আর ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর খোঁজ মেলেনি তাদের। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে ডিএনএ’র নমুনা দিয়ে আহাজারি করছিলেন নাসরিন আক্তারের ভাই আনোয়ার হোসেন রনি। সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের সামনে ভাই, ভাবী আর ভাতিজার খোঁজে দাঁড়িয়ে আছেন লিপুর ভাই ইসমাইল হোসেন।
ইসমাইল হোসেন বলেন, জানি না ভাই-ভাবি-ভাতিজা কোথায় আছেন। আগুনের পরে মোবাইলে কল দিয়েছি কিন্তু বন্ধ দেখাচ্ছে। আমার ভাতিজাও ছিল এক রিকশায়।
জানি তাদের আর ফিরে পাবো না। কিন্তু শেষবারের মতো লাশটা পেলে নিজেদের সান্তনা দিতে পারতাম। সবাই বলছে কেউ বেঁচে নেই। মর্গে গিয়ে সবগুলো লাশ দেখেছি কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না তাদের।
নাসরিন আক্তারের কথা জিজ্ঞেস করলে চোখের পানি মুছতে মুছতে আনোয়ার হোসেন রনি বলেন, মাত্র ২০ দিন হয়েছে অফিস কাছে হবে বলে তারা নতুন বাসা নিয়েছিল। ভাই একটি বেসরকারি আইসক্রিম কোম্পানির বিতরণ কর্মকর্তা। আমাদের সব শেষ কি নিয়ে বাঁচবো আমরা। উর্দু রোড থেকে ৩-৪ মিনিটের দূরত্বে ছিলেন তারা।
ইসলামপুর থেকে অফিস করতে ঝামেলা হতো। তাই নন্দ কুমার রোডের এই বাসায় চলে আসে তারা। এক রিকশায় বাসায় ফিরছিলেন তারা। আফতাহী পড়তেন বকশীবাজারের বীকন স্কুলে। সেও ছিল ওই রিকশায়। তিন মিনিট দূরেই ছিল বাসা। প্রতিদিনের মতো সেদিন রাতেও বাসায় ফিরছিলেন তারা। রাতের খাবার একসঙ্গে খেয়ে বাসায় যেতেন সব সময়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ