Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বীকার করল রুবেল

স্ত্রী-সন্তান হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৫ এএম

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী রুবেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল রোববার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস রুবেলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, রোববার বনানী থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ সিরাজ উদ্দিন রুবেলকে আদালতে হাজির করেন। রুবেল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া কাঁচামালের আড়তের সামনে থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৭ বছর আগে হাসির সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেলের। ৫ বছর বয়সী ছেলে নীরবকে নিয়ে রুবেল ও হাসি কড়াইল বস্তিতে বাস করতেন। ৫ মাস আগে তারা ঢাকা ছেড়ে কুমিল্লার বাড়িতে চলে যান। শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ছেলে নীরবকে নিয়ে ১৯ মার্চ ঢাকায় চলে আসেন হাসি। ২২ মার্চ রুবেলও ঢাকায় আসেন স্ত্রী ও ছেলেকে ফিরিয়ে নিতে। এ কথা শুনে হাসি ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে চলে যান। হাসির মা ও ভাই- বোন তাকে বুঝিয়ে বাসায় নিয়ে আসেন। ২৩ মার্চ রাত ২টা পর্যন্ত হাসি ও রুবেলের মধ্যে সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলে। হাসির বোন বৈশাখীর সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নীরব। ২৪ মার্চ ভোর ৪টার দিকে রুবেল শ্যালিকা বৈশাখীকে ডেকে জানান, হাসি অন্য ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। এরপর নীরবকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় রুবেল।

রুবেল বৈশাখীকে জানায়, সে হাসিকে খুঁজতে যাচ্ছে। আধা ঘণ্টা পর রুবেল বাসায় এসে বৈশাখীর কাছে ২শ’ টাকা চায়। নীরবকে নিয়ে কুমিল্লা চলে যাবে বলে জানায় রুবেল। নীরব কোথায়, বৈশাখী তা জানতে চাইলে রুবেল বলে, ওকে চায়ের দোকানে বসিয়ে রেখে এসেছি। বৈশাখীর কাছে টাকা না পেয়ে শ্যালক মেহেদীর কাছে ৫০০ টাকা নিয়ে চলে যায় রুবেল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রুবেল হাতেম এবং বৈশাখীে ফোন দিয়ে জানতে চায়, হাসিকে খুঁজে পাওয়া গেছে কি না? হাসিকে পাওয়া যায়নি বলে জানান হাতেম। তখন রুবেল তাদের বলে, বাসার পেছনে বিলের মধ্যে খোঁজ করলে হাসির লাশ পেয়ে যাবেন। নিরব কোথায় জানতে চাইলে রুবেল বলে, তাকেও মেরে ফেলেছি। মায়ের পাশে ওর লাশ পাবেন। হাসির পরিবারের লোকজন ঝিলে হাসি ও তার ছেলের লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ২৪ মার্চ বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন হাসির বাবা মো. হাতেম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্ত্রী-সন্তান হত্যা

৬ এপ্রিল, ২০২১
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ