গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তি এলাকায় স্ত্রী ও শিশুসন্তান হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি স্বামী রুবেলকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকার কাঁচামালের আড়ৎ এর সামনে থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রুবেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বনানী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, গত ২৩ মার্চ রাজধানীর বনানী থানার কড়াইল বৌ বাজারস্থ ঝিলপাড় এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ভিকটিম হাসি খাতুন (২৪) ও তার সন্তান নীরবকে (৫) স্বামী রুবেল নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে পরদিন বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে র্যাব-১ তাৎক্ষনিকভাবে হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার তুরাগ থেকে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি মো. রুবেলকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল হত্যাকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রুবেল রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি বিগত ৭ বছর পূর্বে ভিকটিম হাসি খাতুনকে বিয়ে করে রাজধানীর বনানী থানাধীন কড়াইল এলাকায় বসবাস করতেন। তাদের একমাত্র ছেলে সন্তানের নাম নীরব। পাঁচ মাস আগে রুবেল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কুমিল্লা জেলার ইলাসপুর এলাকায় তার গ্রামের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রায়শই রুবেল তার স্ত্রী হাসিকে নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন ও অত্যাচার করতেন। নির্যাতন ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ১৯ মার্চ তাদের সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি বনানী থানার কড়াইল বৌ বাজার এলাকায় চলে আসে।
পরবর্তী সময়ে স্বামী রুবেল গত ২২ মার্চ ভিকটিমকে নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কড়াইল এলাকায় ভিকটিমের বাবার বাড়িতে আসে। ভিকটিম তার স্বামীর সঙ্গে যেতে না চাইলে ২৩ মার্চ রাত ২টার দিকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর কড়াইল বৌ বাজারস্থ ঝিলের পাড় এলাকায় লাশ ফেলে রাখে। একইদিন সকাল ৬টার দিকে রুবেল তাদের একমাত্র সন্তান নীরবকে গলা চেপে হত্যা তার মায়ের লাশের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।