নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একদিকে রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করা পাঁচবার করে শিরোপা জেতা লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচ, অন্যদিকে বার্সেলোনার সুরের মঞ্ছনায় ডুব দেয়ার হাতছানি। ফুটবল রোমান্টিকদের দোটানায় পড়তে হয়েছিল পরশু রাতে। একই সঙ্গে তো আর দুই ম্যাচ দেখা সম্ভব নয়। তবে মন স্থির করে যে ম্যাচই দেখুন না কেন, নিশ্চিতভাবেই ম্যাচ শেষে পড়তে হয়েছে হতাশায়। দুটি ম্যাচের ভাগ্যই যে লেখা হলো একই নিয়মে।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর দুটি ম্যাচই হয়েছে গোলশূন্য ড্র। আনফিল্ডের ম্যাচে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে রোমাঞ্চের আভাস ছিল বটে কিন্তু এলেমেলো মাঝমাঠ আর ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে দেখা মেলেনি কাঙ্খিত গোলের। লিঁওর ালিম্পিক স্টেডিয়ামেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসা আর্নেস্তো ভালভার্দের দলকে রুখে দেয় স্বাগতিক লিঁও। এর আগে আসরের নক আউট পর্বে একই রাতে দুটি ম্যাচই গোলশূন্য থাকতে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালের মার্চে।
লিভারপুল-বায়ার্ন ম্যাচে যে কেউ কাউকে ছাড় দেবে না তা জানাই ছিল। ফলটা তাই একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু বার্সার হোঁচটটা ছিল তাদের পারফর্ম্যান্সের বিপরীত। স্কোরলাইন যে সর্বদা ম্যাচের চিত্র তুলে ধরে না এই ম্যাচ তার আদর্শ উদাহরণ। মেসি-দেম্বেলে-সুয়ারেজদের সামনে যেন চীনের প্রাচীর তুলে দেন লিঁও গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজ। ম্যাচে ২৫ বার শট নিয়েছে বার্সা, মেসি একাই নিয়েছেন ৯ বার; দুটিই চলতি মৌসুমের রেকর্ড। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। স্বাগতিকরাও খেলেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। কাতালান গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন গোটা দুয়েক দুর্দান্ত সেভ না দিলে ফল আরো ভয়ঙ্কর হতে পারত।
লিঁওর বিপক্ষে এ নিয়ে সাত ম্যাচেই অপরাজিত রইল বার্সা। তাতে লিঁওও একটা রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে। মৌসুমে এ নিয়ে নিজেদের শেষ ছয়টি ম্যাচ ড্র করল ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের দলটি, এক আসরে যা যৌথ সর্বোচ্চ। এর আগে এই কীতির্ গড়ে এইকে এথেন্স (২০০২/০৩) ও রেনজার্স (২০০৫/০৬)।
বার্সা সমর্থকদের এদিন সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন লুইস সুয়ারেজ। এ নিয়ে টানা ১৬ অ্যাওয়ে ম্যাচে কোন গোলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই উরুগুয়ান তারকার। নক আউট পর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে স্প্যানিশ জায়ান্টদের সাম্প্রতিক ফলও চোখ কপালে তোলার মত। টানা ছয় ম্যাচে জয় নেই, হার চারটিতেই। এর মধ্যে পাঁচ ম্যাচে কোন গোলই করতে পারেনি তারা।
সুয়ারেজের এমন পারফর্মান্সেও অবশ্য উদ্বিগ্ন নন কোচ ভালভার্দে, ‘এটা আমাকে চিন্তিত করে না। একজন স্ট্রাইকারের কাছে যে চাওয়া থাকে সেই গোলের সুযোগ যদি সে না পেত তাহলে আমাকে চিন্তায় ফেলত। এমনকি যখন গোলের সুযোগ থাকে না তখন অন্যদেন জন্য সে সুযোগ তৈরি করে। প্রতিপক্ষরা তাকে নিয়ে ভয়ে থাকে।’
১৩ মার্চ ঘরের মাঠে ফিরতি পর্বে নিজেকে ফিরে পেতে চাইবেন সুয়ারেজ। তাহলে যে টানা ১১ মৌসুম শেষ আটে ওঠা অনেকটা সহজ হবে ৫ বারের চ্যাম্পিয়নদের।
ঘরের মাঠে শেষ ২৬ ম্যাচে মাত্র দুটিতে হারা বায়ার্নের জন্যেও ফিরতি পর্বে থাকবে ভালো সুযোগ। আনফিল্ডে এদিন নিকো কোভাচের দলের মূল লক্ষ্যই ছিল লিভারপুলকে গোল করতে না দেয়া। অবশ্য সফরকারী শক্ত ব্যুহ ভেঙে মানে-সালাহরা অনেকবার ঢুকে পড়েও কাজের কাজ করতে পারেননি। তার চেয়ে অবাক করার ব্যপার হলো বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন এদিন পোষ্টে কোন শটই রাখতে পারেনি।
ইউরোপিয়ান ফুটবলে টানা ১৯ ম্যাচ ঘরের মাঠে অপরাজিত থেকে মাঠে নামে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। দিন শেষে সেটা অক্ষুণ্য রয়েছে বটে; কিন্তু শেষ আটে ওঠার পথটা তাদের জন্যে কঠিনই হয়ে গেল। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গুন ক্লপের স্মৃতিও সুখকর নয়; তার সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারার রেকর্ডটি (৩০ ম্যাচে ১৬ হার) যে বায়ার্নের বিপক্ষেই।
লিঁও ০ : ০ বার্সেলোনা
লিভারপুল ০ : ০ বায়ার্ন মিউনিখ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।