পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সব দলের অংশগ্রহণ না থাকায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচন জৌলুস হারাতে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, নির্বাচন সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। এই সত্যকে মেনে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে। কেননা, এতে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাহবুব তালুকদার বলেন, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় পর্যায়ে আয়োজিত এই কর্মশালায় এসে আমার মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে, আমরা নির্বাচন কেনো করি? এর উত্তর অত্যন্ত সহজ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। গণতন্ত্র হচ্ছে ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের বেছে নেওয়া এবং তাদের দিয়ে জাতীয় বা স্থানীয় পর্যায়ে দেশ পরিচালনা করা।
‘জাতীয়র মতো স্থানীয় পর্যায়েও গণতন্ত্র একটি সুনির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু বিশেষ কোনো আদেশ-নির্দেশে যদি সেই অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আজ্ঞাবহ হয়ে পড়েন। এ অবস্থা কখনই কাম্য নয়। এছাড়া বর্তমানে উপজেলা পরিষদ যেভাবে দায়িত্ব পালন করার কথা, তা সম্ভব হচ্ছে না। আমি আগেও বলেছি, উপজেলা পরিষদ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী না হলে এর নির্বাচনও গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই তো নির্বাচন। নির্বাচন কখনও গণতন্ত্রহীনতাকে প্রশ্রয় দিতে পারে না।’
ইসি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। এতে এই নির্বাচন জৌলুস হারাতে বসেছে। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেনো, নির্বাচনকে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। নির্বাচন সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না, এই সত্যকে মেনে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে। ধারণা করা যায়, চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রত্যেকেই নির্বাচিত হবেন এবং ওই পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না, এটাই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য শব্দ দু’টির ঔজ্জ্বল্য থাকে না। তারপরও আনুষ্ঠানিকতার কারণেই নির্বাচন করে যেতে হয়। আমি মনে করি, পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেনো, নির্বাচনের মৌলিক কাঠামো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে সর্তক থাকতে হবে। নির্বাচনের মৌলিক কাঠামো বলতে সংবিধান ও আচরণবিধিমালায় বর্ণিত সংশ্লিষ্ট সকলের দায়-দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পরিপালনের নির্দেশ মান্য করার প্রতি গুরুত্বারোপ করতে চেয়েছি।
ইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের দায়িত্ব পালনে কোনো শিথিলতা সহ্য করা হবে না। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো নির্বাচন করতে চাই না। নির্বাচনে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এতে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।