পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ১০টি জেলায় হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য আবাসন স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
আজ জাতীয় সংসদে বরিশাল-৩ আসনের এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপুর তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সমাজ কল্যাণমন্ত্রী বলেন, হিজড়াদের জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, অধিকার নিশ্চিত করা, তাদের স্বাবলম্বী করা ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চলতি অর্থ বছরে হিজড়া জন্য প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, দেশের ৭টি জেলায় ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।এখানে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৭২ লাখ ১৭ হাজার টাকা। পরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কর্মসূচিটি সম্প্রসারিত ৬৪ জেলায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা উন্নীত হয়।
এ কার্যক্রমের যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো হলো- ১. পঞ্চাশোর্ধ ২৫০০ জন অক্ষম ও অসচ্ছ্বল হিজড়াদের ৬০০ টাকা বয়স্ক ভাতা বা বিশেষ ভাতা দেয়া হচ্ছে। ২. হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় তাদের সন্তানদের চারটি স্তর (প্রাথমিক স্তর-সাত শত, মাধ্যমিক স্তরে-আট শত, উচ্চমাধ্যমিক- একহাজার এবং উচ্চতর স্তরে ১২শ’ টাকা) শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়। শুরুতে ১৩৫ জন হতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে মোট ১৩৫০ জনকে শিক্ষা উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
৩. কর্মক্ষম হিজড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকাÐে সম্পৃক্ত করে সমাজের মূল স্রোতধারায় আনার লক্ষ্যে ৫০ দিন করে তাদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রত্যেকে এক হাজার টাকা করে প্রশিক্ষণের পর আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৫০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের পর সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১০ জেলায় হিজড়াদের জন্য আবাসন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।