Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভরসা জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নবীনগর থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা সাঁকো। ভাটা নদীর উপর প্রায় ৩০০ ফুট লম্বা এই বাঁশের সাঁকোটি (যেটি ওয়ালীশাহ্ সাঁকো নামে পরিচিত)ওই অঞ্চলের ৬টি গ্রামের মানুষের নবীনগর উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এ নদীটি তিতাস নদীর একটি শাখা, ভাটা নদী নামে ওই ইউনিয়নে মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় গিয়ে মিলিত হয়েছে।
স্বাধীনতার পর আজ আধুনিক এ ডিজিটাল যোগে নবীনগর পৌরসদরের নিকটতম এ এলাকায় আদৌ তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। শুধুৃ একটি ব্রীজের জন্য এলাকাটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনুন্নত রয়ে গেছে। এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, মাদরাসা, মক্তব, এনজিও, হাইস্কুল, কিন্ডারগার্টেন, হাট বাজার রয়েছে ওই ছয় গ্রামে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার ছাত্র/ছাত্রী জনসাধারণ এই সাঁকো দিয়ে চলাচলা করছে।
নবীনগর উপজেলায় যোগাযোগসহ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চললেও ওই ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামে রাস্তা, কালভাট, সেতু নির্মিত হয়নি। ফতেহ্পুর গ্রামে ভাটা নদীর উপর দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা গ্রামবাসি নিজ উদ্যোগেই করেছে। সম্প্রতি ওই বাঁশের সাঁকোটিও ভেঙে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠে আসে।
এলাকাবাসি দীর্ঘ দিন ধরে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি করে আসছে। যোগাযোগ ক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো জীবন জীবিকার তাগিদে নিজস্ব অর্থায়নে এই সাঁকোটি তৈরি করে চলাচল করে আসছে। এই সাঁকোটি তৈরি করতে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়। প্রতি বছরই সাঁকোটি তৈরি করতে হয়। বছরের মাঝামাঝি সময়ে সাঁকোর বিভিন্ন অংশ ভেঙে বা নষ্ট হয়ে গেলে তাও মেরামত করতে হয়। মেরামতের জন্যও আরো প্রায় পঞ্চাশ ষাট হাজার টাকা খরচ হয়। স্থানীয়রা জানায়, এলাকাবাসির কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্রতিবছরই সাঁকো তৈরি ও মেরামতের কাজ করা হয়। এ বছরও গত দুই সপ্তাহ ধরে সাঁকোটি নড়ভরে অবস্থায় ছিল সম্প্রতি এটি ভেঙে পরে। স্থানীয়রা জানায়, সাঁকোটি তৈরির জন্য চাঁদা তুলে তা মেরামত করেন।
ফতেহ্পুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশিদা অক্তার বলেন, আমাদের ছোট ছোট শিশুরা এবং শিক্ষকরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক আগেই শুনেছিলাম এমপি মহোদয় এ ভাটা নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের জন্য একটি ডিও লেটার দিয়েছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কার্যক্রম কি হয়েছে জানিনা।
এ ব্যাপারে নবীনগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এমপি মহোদয়ের ডিও লেটারসহ জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভাটা নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের আবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে জমা দিয়েছি অনেক দিন হয়েছে। এমপি মহোদয়কে বেশ কয়েকবার বলেছি, বর্তমানে এ ব্যাপারে কোন অগ্রগতি আছে কি না জানিনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন,প্রকল্পটি মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে,একনেক বৈঠকে পাস হলে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে। কবে একনেট বৈঠক হবে প্রকল্পটি পাস হবে বলতে পারছি না ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাঁকো

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৫ জানুয়ারি, ২০২২
২০ জানুয়ারি, ২০২২
১৬ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ