Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের দূতকে তলব করে প্রতিবাদ

সেন্টমার্টিনের ‘মালিকানা’ ফের দাবি

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশের সমুদ্র সীমার অংশ সেন্টমার্টিনকে ফের মিয়ানমার তাদের মানচিত্রে দেখিয়ে ‘মালিকানা’ দাবি করেছে, যার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক এম দেলোয়ার হোসেন মিয়ানমারের ঢাকাস্থ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অং খোয়াকে জরুরি তলব করে বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদপত্র (প্রটেস্ট নোট) হস্তান্তর করেন। দেলোয়ার হোসেন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ নিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলেন। বৈঠক শেষে মিয়ানমার দূত উপস্থিত সংবাদিকদের এড়িয়ে চটজলদি সেগুনবাগিচা ত্যাগ করেন। পরে মহাপরিচালক নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন এবং জনসংখ্যা মন্ত্রাণালয়ের ওয়েবসাইটে যে মানচিত্রের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কিছু অংশ রয়েছে। বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। অবিলম্বে এটি প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সূত্র জানায়, গত বছরের ৬ই অক্টোবর মিয়ানমার তাদের একটি সরকারি ওয়েবসাইটে একই ধরনের কাজ করেছিল। তখন বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে তারা সেটি সংশোধন করে। তখন ওই ওয়েব সাইটটি বাংলাদেশের জন্য ব্লকও করে দিয়েছিল মিয়ানমার। এবার ওই ওয়েবসাইটসহ অন্য সাইটেও তারা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কিছু অংশকে নিজেদের মানচিত্রে দেখিয়েছে। মহাপরিচালক বলেন, তখন তারা বলেছিল ‘ভূল তথ্যে’ এমনটি হয়ে গেছে। তারা সংশোধন করে নেবো। অবশ্য তারা সংশোধনও করে। কিন্তু এবার তারা ফের এটি করেছে। এটা কেন হলো? কিভাবে হলো? এটাই আমরা জানতে চেয়েছি। মহাপরিচালক বলেন, আমরা এ-ও বলেছি তারা আগে ‘ভূল করে হয়েছে’ বলেছিল, এবার তাহলে কিভাবে হলো? এবং তাছাড়া একাধিক সাইটে একই ধরণের প্রচারণা হচ্ছে কেন? এটা বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্বের বিষয়, এখানে কোন ছাড় নেই মন্তব্য করে মহাপরিচালক বলেন, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তার কাছে জানতে বারবার একই ধরণের উস্কানীর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ভুলের পূনরাবৃত্তি হলে সেটা ‘ভুল’ নয় বরং পরিকল্পিত বলে ধরে নেয়া হয়। জবাবে রাষ্ট্রদূত এবারও অতীতের মতই ‘ভূল হয়েছে’ বলে স্বীকার করেছেন জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, এভাবে মানচিত্রে দেখানোর কোন কারণ ছিল না বলে মন্তব্য করে অনুতাপও করেছেন রাষ্ট্রদূত। মহাপরিচালকের দপ্তরে বসেই মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নেপি’ডতে যোগাযোগ করেছে।
শুক্রবার তাদের কর্মদিবসের সূচনাতে প্রকাশিত মানচিত্রের ‘ভুল’ সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। উল্লেখ্য গত ক’মাসে মিয়ানমার দূতকে তলবের এটি পঞ্চম ঘটনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ