২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ

২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
সিগারেট ছাড়ার আগে থেকেই একটা মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিৎ. কারণ অনেকেই সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পরেও ফের ধূমপান করতে শুরু করেন। মুশকিল হল, ধূমপানে আসক্ত মানুষটি সিগারেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এই নির্ভরশীলতা কাটাতে হয়।
সবার আগে নিজেকে বোঝান, যেভাবেই হোক সিগারেট ছাড়তে হবে। এর জন্য নিজেকেই নিজে প্রস্তুত করতে হবে। একটা নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করে রাখুন্ ওই তারিখ থেকে সিগারেট খাবেন না। সিগারেট ছাড়ার জন্য কোন ধরনের সাহায্য প্রয়োজন হলে সেটা ভেবে নিন। সেই হিসাবে পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও কথা বলুন। তাঁদের জানা উচিৎ আপনি সিগারেট ছাড়তে চান। সাধারণত সবাই সিগারেট ছাড়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেবে ল্ফ সিগারেট ছাড়তে মন চাইছে, অথচ পারছেন না, এমন ক্ষেত্রে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর দিকে নজর দিন। খেয়াল করলে দেখবেন, ফুসফুসের প্রায় সবধরনের বারোটা বাজানো, ক্যাসারের আশঙ্খার সঙ্গে নিজের স্ত্রী, আত্মীয়স্বজন, সন্তানেরও ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে। ল্ফ আশে পাশে ধূমপায়ীদের দিকে খেয়াল করুন। দেখবেন, সিগারেট এতটাই খারাপ যে অনেক সময় ধূমপায়ীরা সিগারেটের পর অ্যালকোহল, গাঁজা, ড্রাগেও আসক্ত হয়ে পড়ছে। এর পরিণতি ভংঙ্কর। নিজেকে প্রশ্ন করুণ-আপনি কি নিজেও ওই একই রাস্তায় হাঁটতে চান ?
এবার আসা যাক সিগারেট ছাড়ার পর, সেই সিদ্ধান্তে অটল থাকা প্রসঙ্গে। এক্ষেত্রেও কতগুলো মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। ল্ফ যেদিন ছাড়বেন, সেই দিনটি খুব গুরুরত্বপূর্ণ। কারণ বারবার আপনার সিগারেট খাওয়ার জন্য ইচ্ছা হবে। তাই সারাদিন নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখুন। ল্ফ ধূমপায়ীদের নিদিষ্ট সময় থাকে সিগারেট খাওয়ার। সিগারেট ছাড়ার পর ঠিক ওই সময়গুলোতে সিগারেটে খাওয়ার মারাত্মক ইচ্ছা করবে। সাধারণত ২ থেকে ৫ মিনিটের জন্য ওই তীব্র এই ইচ্ছা স্থায়ী হয়। এ সময়ে অল্প অল্প পানি পান করুন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। ২ থেকে ৫ মিনিট কাটিয়ে দিতে পারলেই ইচ্ছাটা অনেকটাই কমে যায়।
সকালে উঠেই চা বা কফির সঙ্গে সিগারেট খান। অর্থাৎ চা পানের সঙ্গে সিগারেট খাওয়ার একটা সম্পর্ক রয়ে যায়। এমন হলে সকালে উঠে প্রথমেই চা পান করবেন না। বরং মুখ ধূয়ে আগে ব্রেকফাস্ট করে ফেলুন। বা অন্য কিছু করুন। ঘর থেকে বেরনোর আগে তড়িঘড়ি চা পান করে কাজে চলে যান। দেখবেন সিগারেট খাওয়ার কথা মাথায়ই আসছে না। ভারী কিছু খাওয়ার পর সিগারেট ধরানোর অভ্যাস থাকলে, খাদ্যগ্রহণের পর অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়–ন।
ল্ফ কাউকে সিগারেট খেতে দেখলে সেদিকে যাবেনই না। কারণ অন্যকে ধূমপান করতে দেখলে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। ল্ফ প্রতিদিন এক্সারসাইজ করুন। শরীর - মনে চনমনে থাকুন। ল্ফ অনেকেই বলেন ঠিক করে কাজ করতে পারছেন না সিগারেট ত্যাগ করার জন্য। সিগারেট ছাড়ার পর এমন সামান্য সমস্যা দেখা দেয়। তবে, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই এই সমস্যা কেটে যাবে। ল্ফ যাঁরা সিগারেট ছেড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। ল্ফ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে কগনেটিভ বিহেভিয়ার থেরাপির সাহায্য নিতে পারেন।
নিষেধাজ্ঞাই হোক একমাত্র উপায়- ল্ফ ই-সিগারেট, নিকোটিন চ্যুইংগাম আছে ঠিকই, তবে এগুলো কোনও কাজের জিনিষ নয়। কারণ কম ক্ষতিকারক বলে সবাই দাবি করছে অথচ কেউ বলছে না, সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ কি না! তাই সিগারেট একেবারে ছেড়ে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ল্ফ শুধু সিগারেট কেন, যে-কোনো ধরনের তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্যই ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাহলে কঠিন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকবেন।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।