পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে সম্পূর্ণভাবে মুসলিমদের প্রবেশ স্থগিত করতে চান দেশটির ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে দুবার ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেবেন। আর তা রুখতেই নতুন আইনের প্রস্তাব করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার কংগ্রেস সদস্য ডন বেয়ার। দি ইনডিপেনডেন্টের খবরে জানানো হয়, ডন মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ অবাধ রাখতে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে একটি ‘ধর্মনিরপেক্ষতার বিল’ উত্থাপন করেছেন। আর এই বিলে ৭০ জন সদস্যের সমর্থনও জুটিয়েছেন এই জনপ্রতিনিধি।
সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই বিল সম্পর্কে ডন বলেন, অন্য গ্রহের প্রাণী এলেও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের প্রবেশ আটকানোর কথা নয়। ধর্মের ভিত্তিতে দেশে ঢোকা আটকানো অনৈতিক। ধর্মনিরপেক্ষতার এই বিলের প্রস্তাবে ডনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০টি সংগঠন। যার মধ্যে ইন্দোমার্কিন নাগরিকদের বেশ কয়েকটি সংগঠনও রয়েছে।
এর আগে লন্ডনের নবনির্বাচিত মেয়র সাদিক খান, পদে বসেই তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ট্রাম্পের জন্য দুই দেশই (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) জঙ্গি হামলার লক্ষ্য হয়ে পড়ছে। এত কথা শুনেও ট্রাম্প বদলালেন না নিজের অবস্থান। গত বুধবার ফক্স নিউজে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে দেন, এখনো তিনি মুসলমানদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের পক্ষে। গেল বছর প্যারিসে চালানো এক সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর ট্রাম্প মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন। তার এই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। অনেকেই ট্রাম্পের প্রস্তাবের নিন্দা করেন। কিন্তু তার এই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দরকার বলে মন্তব্য করে নিজের প্রস্তাবে অটল ছিলেন ট্রাম্প। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।