Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘নেতিবাচক’ পথে বাংলাদেশের গণতন্ত্র

মার্কিন কংগ্রেস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির ছয় সদস্য বাংলাদেশের গণতন্ত্র পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ‘নেতিবাচক’ পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেন। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইছে, তা-ও জানতে চেয়েছে ঐ কমিটি। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন কমিটির চেয়ারম্যান ইলিয়ট এঙ্গেলসহ ছয় সদস্য।
পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সর্বশেষ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের খবরে দেশটির গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। তারা বলেন, বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী ও গর্ব করার মতো গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য আছে। তাই নির্বাচনি প্রচারণার সময় সহিংসতা, গণগ্রেপ্তার ও বাক-স্বাধীনতার উপর হামলার খবরে হতাশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্যরা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নেতিবাচক গতি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।’ নির্বাচনের ফলাফল তুলে ধরে চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘সরকার দ্বারা নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনকে বৈধ ঘোষণা করলেও আমরা (মার্কিন কংগ্রেস) বিশ্বাস করি অনিয়মের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তারা ভোটগ্রহণ শুরুর আগে সাংবাদিকদের ব্যালটভর্তি বাক্সের সন্ধান পাওয়া এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ভিসা দিতে সমস্যা তৈরির বিষয়টিও উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করা মার্কিন স্বার্থেই জরুরী; এবং বাংলাদেশে নির্বাচনে অনিয়মের যে অভিযোগ আসছে, তা ঐসব স্বার্থের জন্য বিরাট হুমকি।’
এদিকে, এই চিঠি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর সিনেটে এক শুনানিতে অংশ নেন ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদলীয় শাসন চালু করতে চাইছেন বলে আশঙ্কা বেড়েছে। সূত্র: বিবিসি, ডয়চে ভেলে।



 

Show all comments
  • ইলিয়াস মাহমুদ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৪ এএম says : 0
    দেশে স্বৈরতন্ত্র চললেও মার্কিন হস্তক্ষেপ কামনা করি না। নির্বাচন তো ১০০% নিয়ন্ত্রিত ছিল। দেশের মানুষ এখন একনায়কতন্ত্রই চায়। বারবার সরকার পরিবর্তনে দুর্নীতি বাড়ে। উন্নয়ন ব্যহত হয়। বিরোধী দল আপাদত অপেক্ষায় থাকুক। তাদেরও একদিন সময় আসবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ataul Karim Junnun ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৪ এএম says : 0
    তুমি সেই আমেরিকা যে ৭১ সালে পাকিস্তানের কে ৯ টি যুদ্ধজাহাজ দিয়েছিল বাংলাদেশীদের মারার জন্য? আমার দেশে নাক না গলালেও চলবে
    Total Reply(0) Reply
  • Hm Morsed Bijoy ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৪ এএম says : 1
    মৃত ব্যাক্তি যে কবর থেকে উঠে ভোট দিয়ে গেছে সেই খবর জানলে ট্রাম্প নিচ্ছয় হার্টএট্যাক করবে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Mamun ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৫ এএম says : 0
    কংগ্রেসের উচিৎ নিজের চরকায় তেল দেওয়া। যেই ট্রামপের বিরুদ্ধে ইবিএম কারচুপির অভিযোগ করে সয়ং আমেরিকা সে ট্রামপ সরকার বাংলাদেশের কি গণতন্ত্র রককা করবে?? এই প্রতিবেদন আমেরিকার সার্থে প্রকাশিত।আমরা আমেরিকার হস্তক্ষেপ কোন ভাবেই গ্রহণ করবনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Foysal Mahmud ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৫ এএম says : 0
    আমেরিকার নিজের দেশেই তো গনতন্ত্র নেই ট্রাম্প নিজেই তো ইভিএমের মাধ্যেমে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসছে। বিচারক নিজেই তো বড় মাপের চোর।
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Hasan ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৫ এএম says : 0
    হাতি-ঘোড়া গেল তল, চামচিকা বলে কত জল ! এসব কংগ্রেস-ফংগ্রেসের বেইল নাই ! ওরা চায় বাংলাদেশ ওদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনুক। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এগুলো আসলে কিছুই না। জাস্ট অস্ত্র কিনার চাপ সৃষ্টি। ট্রাম্প তো নিজেই রাশিয়ার সমর্থন নিয়া ক্ষমতায় আইছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kaysar A. Ovi ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 1
    ৩০ই ডিসেম্বর কোনো নির্বাচন হয়েছে নাকি? নির্বাচন তো হয়েছে ২৯ তারিখে রাতেই তাই ট্রাম্প প্রশাসন বিল উত্থাপন করার সময় ৩০ তারিখ না বলে ২৯ তারিখ বলার জোর দাবি জানাই
    Total Reply(0) Reply
  • Suvro Ahmed ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 1
    ডা.ইউনুসকে যখন গ্রামীন ব্যাংক থেকে বাহির করে দিছে তখনও কংগ্রেস তর্জন গর্জন করছে,,লাভ কি হইছে?এদেশের রাজনিতিতে ভারতের যতখানি প্রভাব আমেরিকার তেমনটা নেই,,সরকার মূলত টিকেই আছে ভারতের অদৃশ্য কলকাঠির জোরে,,আমেরিকা ২,১টা সুস্বাদু বানী প্রসব করবে,এটা নিয়ে সরকারবিরুধি দলগুলো একটু ফ্যান্টাসিতে ভুগবে এই আরকি,,সরকারের আমেরিকার পরওয়া নাই, নাই দেশের জনগনের নাই গনতন্ত্রের।
    Total Reply(0) Reply
  • Upcoming Leader ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশে গনতন্ত্রের নামে রাজতন্ত্র চলতেছে। নামে গনতন্ত্র,কাজক্রম সব রাজতন্ত্রের মত। সাধারন মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না। গুম,খুন,হামলা,মামলাতো লেগেই আছে। তাহলে গনতন্ত্রের কি দরকার। একনায়কতন্ত্র করলেই হয়। যার এর বিরোধীতা করবে তাদের উগান্ডা,নাইজেরিয়া পাঠাই দেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahabub Dulal ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৭ এএম says : 0
    এই সরকার ভোট চোর এটা ভারত সহ সবাই জানে, কিন্তু আম জনতার কিছুই করার নেই, প্রতিবাদ করলে নেমে গায়েবি মামলা ও হামলা অতএব নিরব থাকাই শ্রেয়
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কিন

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ