নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিকেটের ফেরীওয়ালাদের সঙ্গে হয়তো তার নামটি ওভাবে যায় না। কিন্তু ক্রিকেটকে বিনোদনে রূপান্তরের রূপকার হিসেবে তার নামটি আবসে সর্বাগ্রে- ড্যানি মরিসন। বিশ্বের সকল ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগে তার উপস্থিতি চাই-ই চাই। তার হাস্যরসে ভরা ধারা বিবরণী, বাচনভঙ্গি কিংবা উদ্ভটসব অঙ্গভঙ্গির কারণে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটার। বিপিএলের ডাকে এবারও এসেছিলেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে দেখেছেন নতুন এক পরাশক্তি হিসেবে। কাজের ফাঁকে আরেকটি নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে দৈনিক ইনকিলাবকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে সেই মরিসনই বাতলে দিলেন সাফল্যের এক পথ, তবে সেটিও যে কণ্টকময়।
নিউজিল্যান্ডের তীব্র বাতাসের সাথে মানিয়ে নেয়া উপমহাদেশের দল গুলোর জন্য সবসময়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৭ সালের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরেও ওয়েলিংটন, ক্রাইস্টচার্চের বাতাসের সাথে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছে বাংলাদেশের। এবার তিনটি করে ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচের সিরিজেও একই পরীক্ষা দিতে হবে বলে মনে করেন সাবেক এই কিউই পেসার, ‘এটা আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। যদি ঠাণ্ডা থাকে, তাহলে কাজ কঠিন হবে বাংলাদেশের। যে কোনো উপমহাদেশের দলের জন্য নিউজিল্যান্ডের ক্রমাগত বদলে যাওয়া আবহাওয়ার খেলা কঠিন। ওয়ানডে হবে ফেব্রুয়ারিতে, টেস্ট হবে মার্চে। বাতাসে খেলা কঠিন হবে। ওয়েলিংটন খুবই কঠিন হবে, সেখানে বাতাসের গর্জন প্রবল। কেউ না কেউ তো বাতাসের অনুকূলে বল করবে। সহজ কাজ নয়, এটা নিশ্চিত।’
নিউজিল্যান্ডের ছোট মাঠে বাতাস ব্যবহার করার চেষ্টা থাকে দুই দলেরই। বিশেষ করে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা ছোট বাউন্ডারি ও বাতাসের সুবিধা নিতে যথেষ্ট পটু। বাতাসের অনুকূলে বড় শটের সর্বোচ্চ ফায়দা নিতে সক্ষম কিউইরা। সেক্ষেত্রে উপমহাদেশের বোলারদের দ্রুত মানিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে যায়। বাতাসের কারণে চাপের মুখে আক্রমণাত্মক বোলিং ভুলে রক্ষণাত্মক বোলিংয়ের পথ বেঁছে নিতে হয় বোলারদের, ‘কন্ডিশন যদিও অনেকটা ইংল্যান্ডের মতোই। গরম কালের আবহাওয়া ভালো থাকে। বাকি সময় কেমন থাকবে সেটি আসলে কেউ বলতে পারে না। তারা কি মেঘাচ্ছন্ন কিংবা অন্ধকার আবহাওয়াতে খেলবে কিনা সেটি অনিশ্চিত। বাংলাদেশ খুশি হবে যদি তারা ফ্ল্যাট উইকেটে খেলতে পারে। তেমনটি হলে পার্থক্য গড়তে পারবে তারা।’
দুই বছর আগের নিউজিল্যান্ড সফরেও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সহ বাংলাদেশ দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারদের একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সেই সফরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে দারুণ ব্যাটিং করেছিলো টাইগাররা। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড় করিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরও দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যর্থতায় ম্যাচটি ৭ উইকেটে হেরেছিলো তারা। ১৬০ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ কিউইদের সামনে লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে পেরেছিলো মাত্র ২১৭ রানের। কিন্তু শক্তিশালী কিউইদের কাছে এই লক্ষ্য ছিলো একেবারেই মামুলি। সুতরাং দারুণভাবে শুরু করার পরেও পরাজিত দলের কাতারে থেকে ম্যাচটি শেষ করতে হয়েছিলো বাংলাদেশকে। সেই ম্যাচটির স্মৃতিচারণ করে মরিসন বাংলাদেশের ঘাটতিগুলো দেখিয়ে দিয়েছেন। টেস্টের মানসিকতা প্রকটভাবে অনুপস্থিত ছিলো সেবার জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘তারা (বাংলাদেশ) প্রায় ৬০০ এর কাছাকাছি রান করেছিলো, কিন্তু এরপরেও ম্যাচটি হেরেছে। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে যে মানসিকতা প্রয়োজন সেটা অনুপস্থিত ছিলো। এটাই আসলে হতাশাজনক।’
এর কারণ জানিয়ে উত্তরণের একটি পথও বাতলে দিয়েছেন এক সময়ের ডাকসাঁইটে এই গতিকারকা। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে ভালো করতে হলে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে বাংলাদেশকে। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট শিকার করার লক্ষ্য নিয়ে খেলার কথা উল্লেখ করেছেন এই কিউই। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন এবং উইকেট এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাজ কঠিন করে তুলবে, ‘বাংলাদেশের ব্যাটিং ভালো, তবে বোলিংয়ে ২০ উইকেট নেয়ার সামর্থ্য থাকতে হবে তাদের। খেলার মধ্যে থাকতে হলে এটাই চ্যালেঞ্জের হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।