কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় শিশুসহ ২২ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। রবিবার মধ্যরাতে শাহপরীরদ্বীপ খুরেরমুখ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় দালাল চক্রের কোনো সদস্যকে আটক করা সম্ভব হয়নি জানাগেছে।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১০ নারী, ১১ শিশু এবং ১ জন পুরুষ রয়েছেন। তারা সবাই কুতুপালং এবং বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক আছাদুজ্জমান চৌধুরী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ খুরেরমুখ নামক স্থানে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য উত্তর লম্বরি পাহাড়ে কিছু রোহিঙ্গাকে জড়ো করা হয়েছে এমন তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
খুরেরমুখে বিজিবির অস্থায়ী চেকপোস্টের হাবিলদার মো. তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহল দল এসব রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করেন। জিজ্ঞাসবাদে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন তারা মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ট্রলারের অপেক্ষা করছিলেন।
তিনি আরও জানান, অনিরাপদ জেনেও রোহিঙ্গারা সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে দালালের সহযোগিতা নিচ্ছেন। তবে কোন দালালের মাধ্যমে তারা যেতে এখানে এসেছেন তা কোনোমতেই স্বীকার করেননি।
উদ্ধার হওয়া ৩ নারী, ৪ জন শিশু এবং একজন পুরুষসহ ৮ জন বালুখালী ক্যাম্পের। বাকি ৬ নারী এবং ৮ জন শিশুসহ ১৪ জন কুতুপালং ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা। পরে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এ অধিনায়ক।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেও মালয়েশিয়া পাচারকালে টেকনাফের পৃথক তিন স্থান থেকে ২ দালালসহ ৫০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছিল বিজিবি। তারাও টেকনাফ, উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা।