পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার দশম দিন ছিল গতকাল রোববার। সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন হওয়ায় এদিনে মেলায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল গত দুই দিনের তুলনায় কম। তবে যারা এসেছেন তারা শুধু ঘোরাঘুরিই করেননি, তাদের মধ্যে ছিলো বই কেনারও প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যার পরে বইপ্রেমীদের সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে স্টল ও প্যাভিলিয়নে কর্মরতরা। তবে এতেই সন্তুষ্টির আভা ফুটে উঠেছিলো বিক্রয়কর্মীদের চোখেমুখে।
বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীর উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় মেলাজুড়ে। আর তা ছিলো যেন বইয়ের উৎসব। এদিনের মেলা নিয়ে শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্যের ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল বলেন, মেলা অনেক বেশি জমে উঠবে এমনটা আশা আমাদের ছিলো, তবে যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি হয়েছে। বইপ্রেমীদের এ জোয়ার যদি অব্যাহত থাকে তবে এবারের মেলা বিগত বছরগুলোর চেয়ে অনেক বেশি সফলতা অর্জন করবে বলেও মনে করেন আমজাদ হোসেন কাজল।
মাত্র দ্বিতীয় সপ্তাহে পা রেখেছে অমর একুশে প্রন্থমেলা। এরই মধ্যে লেখক-প্রকাশক আর পাঠকদের মিলনের উচ্ছ্বাস ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। যে ঢেউয়ে আন্দোলিত করছে তারুণ্যের হৃদয়কে। পিছিয়ে নেই শিশু-কিশোররাও। সব ছাপিয়ে এরমধ্যে যে কথাটি জানান দিচ্ছে তা হলো, ডিজিটালাইজেশনের এই যুগেও বইয়ের আবেদন কমেনি এক রত্তিও- বরং বেড়েছে। লেখক-প্রকাশকদের মতও তাই। তারা বলছেন, বিশ্ব এখন দ্রুত পরিবর্তনশীল। হয়ে উঠছে প্রযুক্তি নির্ভর। আমাদের দেশেও এখন হাতে হাতে স্মার্টফোন, আর পাঠকদের হাতে উঠেছে ই-বুক। সহজে মিলছে ইন্টারনেট সেবাও। কিন্তু ছাপা বইয়ের কাটতি কমেনি। অনলাইন সুবিধা নিয়ে অনেকেই কেনেন ছাপা বই। পাঠক বইমেলায় আসছেন, বই কিনছেন। এই আবেদন চিরকাল ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। অমর একুশে গ্রন্থমেলার শুরুর দিন থেকে গতকার রোববার, মেলার দশম দিন তারই সাক্ষী দিচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস গতকাল রোববার বিকাল ৩টায় মেলার প্রবেশ দ্বার খুলে দেওয়া হয়। গত শুক্র ও শনিবারের মতো ততটা ভিড় দেখা যায়নি। তবে মেলা প্রাঙ্গণে ছিল বইপ্রেমীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি।
কথাপ্রকাশের বিক্রয় ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী বলেন, আমাদের এখানে সবধরনের বই বিক্রি হচ্ছে। গত দুই দিনের তুলনায় গতকাল বিক্রি কিছুটা কম হলেও একেবারে খারাপ নয়। আগামী দিনগুলোতে এ ধারা অব্যাহত থাকলে এবারের মেলা সফলতার পথে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউনুস আলী।
এই প্রকাশনা সংস্থার ব্যবস্থাপকের কথার সত্যতা মিলেছে মেলায় আগত প্রত্যেকের হাতে হাতে ব্যাগভর্তি বই দেখে। ঢাকা সেনানিবাসের মাটিকাটা ও বারনটেক থেকে এদিন মেলায় এসেছিলেন দুই ‘জা’ মুশতারি তালুকদার সায়মা ও সাবিনা ইয়াসমিন মৌরি। এদের মধ্যে বড় জা সায়মা বলেন, আমি মাসুদ রানা সিরিজের গোয়েন্দা বই পড়তে বেশি পছন্দ করি। আর ছোট জা সাবিনা বলেন, আমি হূমায়ূন আহমেদের বই কিনতেই মেলায় এসেছি। তবে দুজনের পছন্দের লেখকের তালিকায় রয়েছেন হূমায়ুন আহমেদ। তারা আরো বলেন, সব বই কেনা হয়নি। আরো একদিন সপরিবারে আসবো। আর সেদিন পছন্দের বাকি বইগুলো কিনবো। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।