পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুদকের খামখেয়ালীপনার কারণে অপরাধী না হয়েও তিন বছর কারাগারে রাখার ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাঙ্গাইলের জাহালমকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার দাবি উঠেছে। গতকাল শনিবার ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠনের মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়। এর আগে প্রখ্যাত আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকসহ কয়েকজন বরেণ্য ব্যাক্তি নরসিংদীর ঘোড়াশালে পাটকলে কর্মরত এই জাহালমকে রাষ্ট্রের ক্ষতিপুরণ দেয়া উচিত বলে দাবি জানান। সভায় ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশীদ। দুদক কর্মকর্তা আসামি শনাক্তে ভুল করে জাহালমকে গ্রেপ্তার করেছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম এ সবুর, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে আজাদ, সানোয়ার হোসেন সামছী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ প্রমূখ।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের বিচারে নিরীহ জাহালম তার জীবন থেকে ও পরিবার-পরিজন থেকে গত ৩ বছর বঞ্চিত ছিলেন। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনায় তার মুক্তি মানবিকতার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা মনে করি ৩ বছরের অমানবিক আচরণের কারণে তার পরিবার পরিজনের যে বঞ্চনা, তার ক্ষতিপূরণ ১০ কোটি টাকা দুর্নীতি দমন কমিশনকে দিতে হবে। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি জিয়াউদ্দিন তারেক আলী বলেন, রাষ্ট্র এবং দুদক কেউই জাহালমের উপর যে নির্দয় ও অমানবিক আচারণ তা এড়িয়ে যেতে পারেন না। আমরা জাহালমের উপর এই অন্যায়ের প্রতিকার দাবি করছি।
মানববন্ধনে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের ঘোষণাপত্রে বলা হয়, নির্দোষ জাহালমের জেলে যাওয়া ও তিন বছর কারাগারে থাকার ঘটনার দুদকের মতো একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন যেমনটি করে প্রশ্নবিদ্ধ হলেন; তেমনি সোনালী ব্যাংক ও একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান কী করে সালেকের পরিবর্তে জাহালমকে দোষী হিসেবে সাব্যস্ত করলেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে দেশবাসীর সামনে অনেকগুলো প্রশ্ন এসে হাজির হয়েছে।
এই মামলায় মূল আসামিকে আড়ালে রাখার কোনো প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জাহালমকে ফাঁসানো হয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি দাবি করেছে সামাজিক আন্দোলন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।