পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের তামিলনাড়– রাজ্যে কয়েকটি কবরস্থান খুঁড়ে কয়েকশ’ কোটি টাকা মূল্যমানের স্বর্ণ, হীরা, নগদ অর্থ ও লেনদেনের তথ্য-প্রমাণ উদ্ধার করেছেন দেশটির শুল্ক কর্মকর্তারা। সারভানা স্টোর ‘ব্রাহ্মণামাই’ এবং দু’টি প্রোমোটার সংস্থা চেন্নাইয়ের ‘লোটাস গ্রুপ’ ও কোয়েম্বাটোরের ‘জিস্কোয়্যার’ এর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির তদন্তে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে অবশেষে এই সম্পদ পেলেন তারা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টাকা, হীরা ও সোনা রাখা হয়েছিল কয়েকটি কবরে। সেগুলি খুঁড়ে হিসাব বহির্ভূত নগদ ২৫ কোটি টাকা, ১২ কিলোগ্রাম ওজনের সোনা এবং ৬২৬ ক্যারাট ওজনের হীরা উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে চেন্নাই ও কোয়েম্বাটোরের ৭২টি জায়গায় এই আয়কর অভিযান চালানো হয়েছিল। সবক’টি জায়গাতেই রয়েছে ওই সারাভানা স্টোরের মালিক যোগারাথিনাম পোন্ডুরাই ও তার সহযোগী রামজায়াম ওরফে বালার স্থাবর সম্পত্তি। বালা লোটাস গ্রুপ ও জিস্ক্যোয়্যারের মালিক।
আয়কর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, তাদের অভিযানের খবর আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন পোন্ডুরাই ও বালা। পুলিশেরই কাছ থেকে সেই খবর তারা পেয়ে গিয়েছিলেন। অনুসন্ধানের জন্য পুলিশ সুরক্ষা চাওয়া হয়েছিল এবং কর্মকর্তাদের পরিবহন করার জন্য আয়কর বিভাগ অনেকগুলি গাড়ি ভাড়া করেছিল। খবর পেয়ে তারা একটি এসইউভি গাড়িতে টাকা, সোনা, হীরা উঠিয়ে ড্রাইভারকে বলেন দূরে সরে যেতে। তাদের কর্মীরা কম্পিউটার এবং সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সমস্ত রেকর্ড মুছে ফেলে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এসইভি গাড়ির তথ্য ও কবরস্থানে মাটির নিচে বহুমূল্যের সম্পদ লুকিয়ে রাখার তথ্য স্বীকার করে। পুলিশের সহায়তায় সেই গাড়ি আটকানো হয়। এরপর বিশেষ টিম দিনভর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কবরস্থানের ভেতরে মাটি খুঁড়ে এসব সম্পদ উদ্ধার করে।
এক কর্মকর্তা জানান, ‘পোন্ডুরাই ও বালার বিরুদ্ধে বিপুল লেনদেনের তথ্য-প্রমাণ আমরা পেয়েছি। পোন্ডুরাইয়ের বিরুদ্ধে ২৮৪ কোটি রুপি ও বালার দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১৪৯ কোটি রুপির জ্ঞাত আয় বহিভর্‚ত সম্পদের হিসাব পাওয়া গেছে।’ তিনি আরও জানান, ‘পোন্ডুরাই, বালা, তাদের অংশীদার ও সহযোগিরা নগদ অর্থে লেনদেন করতেন। তারা ১৮০ কোটি রুপির একটি স্থাপনা কিনেছিলেন সম্পূর্ণ নগদ অর্থে।’
উদ্ধার করা সম্পদের হিসেবে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোট ৪৩৩ কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দিয়েছে। জব্দকৃত কম্পিউটার থেকে মুছে ফেলা সমস্ত তথ্য উদ্ধারের জন্য আয়কর বিভাগ আইটি পেশাদারদের একটি দল নিযুক্ত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।