বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অর্থ আত্মসাৎ ও নারী কেলেংকারীর দায়ে কর্মকর্তাসহ ঝিনাইদহের চার পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক আইসি মাহফুজুল হককে ব্যাগ ভর্তি অর্থ আত্মসাতের দায়ে এসআই থেকে এএসআই এবং নুরুন্নবীকে এএসআই থেকে কনস্টেবল করা হয়েছে। অন্যদিকে মহিলাসহ নগ্ন ছবি তুলে প্রতারণার দায়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই মোঃ রাজু আহম্মেদ ও কনস্টেবল মুসা তারেককে চাকরি থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। খবরের সত্যতা নিশ্চত করে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম বলেছেন, ব্যক্তির দায় পুলিশ বিভাগ নেবে না। অপরাধ করলেই তাকে শাস্তি পেতে হবে। তিনি বলেন শীঘ্রই তালিকাভুক্ত মাদকের গডফাদার, এজেন্ট, ডিলার আশ্রয় দাতাদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযানে নামবে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ (আইসি) এস,আই মাহফুজুল হক, এএসআই নুরুনবী, কনস্টেবল হোসেন আলী ও সোহল রানা চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বাসিন্দা উয়াজির আলীর ১৬ লাখ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে তদন্তে মাঠে নামেন পুলিশ সিকিউরিটি সেলের (পিআইও) ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হোসেন মড়ল ও পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। তদন্ত করে তারা ঘটনার সত্যতা পান। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক ৪ টি বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন এ সব বিভাগীয় মামলা তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মাহফুজুল হককে এসআই থেকে এএসআই ও নুরুন্নবীকে এএসআই থেকে কনস্টেবল করা হয়। এদিকে ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরের দিকে ঝিনাইদহ সরকারী নুরুননাহার মহিলা কলেজের মাস্টার রোলের কর্মচারী (এমএলএসএস) মোঃ আলমগীর হোসেনকে ব্লাক মেইল করতে দুইজন অপরিচিত নারী ক্যাম্পাসে পাঠায় ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই মোঃ রাজু আহম্মেদ ও কনস্টেবল মুসা তারেক। ওই নারীরা ওয়াশ রুমের দিকে যাওয়ার সাথে সাথে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সেখানে এসে হাজির হয় সদর থানার এএসআই মোঃ রাজু আহম্মেদ, কনস্টেবল মুসা তারেক এবং সদর থানার সিভিল টীমের মাইক্রো চালক তুষার আহম্মেদ। তারা এসেই কলেজের নীচ তলার ১০৫ নাম্বার রুমের পাশে এমএল এসএস ( গার্ড) মোঃ আলমগীর হোসেনকে মারপিট করতে থাকে। জোর করে পরনের কাপড় খুলে উলঙ্গ করে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে আসা ওই দুই নারীর সঙ্গে নগ্ন ছবি ধারণ করে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম ওই দিনই তাকে ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা বেড়িয়ে আসে। এরপর ২৬ জানুয়ারি শৃঙ্খলা বহির্ভূত এবং পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে সদর থানার এএসআই মোঃ রাজু আহম্মেদ ও কনস্টেবল মুসা তারেককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ দেন পুলিশ সুপার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।