বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল করতে অবশেষে কিছুটা সক্রিয় হয়ে উঠেছে নগর ভবনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ। সিটি মেয়রের নির্দেশে বর্ষার আগেই নগরীর ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিচ্ছন্ন বিভাগ থেকে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিকদের চাপও কিছুটা দূর হয়েছে। এতদিনের জঞ্জালের পরও দায়িত্ব গ্রহণের একশ দিনের মাথায় নগরীর সোয়া ৩শ’ কিলোমিটার ড্রেনই পরিষ্কার করে অবিলম্বে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্বিঘœ করার নির্দেশ দিয়েছেন সিটি মেয়র। যা ইতোমধ্যে অনেকাংশে কার্যকর হওয়ায় দিনের বেলা নগরবাশীর চলাফেরায় অনেকটাই সাচ্ছন্দ ফিরে এসেছে।
কিন্তু এসব কিছুর পরেও সিটি মেয়র ইতোমধ্যে নগরীর ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার নির্দেশ দেয়ায় নগরী বিভিন্ন এলাকাতেই বিভৎস চিত্র ফুটে উঠছে।
এদিকে, সদর রোডেই ড্রেনের ময়লা রাস্তার কিনারায় রাখার পরে তা ৪৮ ঘণ্টায়ও অপসারণ করা হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘদিন জমে থাকা ঐসব ময়লা-আবর্জনা রাস্তার ওপরে এসে এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব বিষয়ে নগর ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের আরো আন্তরিকতার তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, নগরীর নবগ্রাম রোডে ড্রেনের অবস্থা অন্য যেকোন এলাকার চেয়ে করুন। এখানে মনসুর কোয়াটার থেকে অক্সফোর্ড মিশন রোডের মুখ পর্যন্ত কয়েকজন ভবন মালিক রাস্তার ওপর দিনের পর দিন বালু ও খোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে ড্রেনটির প্রায় নব্বই শতাংশই ভরাট করে ফেলেছেন। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বটতলা বাজার এলাকা থেকে হাতেম আলী কলেজ পর্যন্ত সড়কটির ওপর পানি থৈ থৈ করে। প্রায় একই অবস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের ড্রেনটির। সেখানে গত তিন বছরে দুটি বহুতল ভবন-এর নির্মাণ সামগ্রীতে মূল ড্রেনটি ভড়াট হয়ে গেছে। নগরবাসী মেয়রের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও কাজের গতি আরো বাড়ানোর দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।