পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নব্বইয়ের দশকে তিব্বত ছেড়ে ভারতে এসে হিমাচল প্রদেশের বীর এলাকায় পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন তেনজিনের বাবা-মা। ছেলে হয়ে জন্মালেও ছোটবেলা থেকেই তেনজিনের আচার আচরণে মেয়েলি ভাব ছিল। মেয়েদের জিনিসেই বেশি আকৃষ্ট হত সে। স্বভাবের পরিবর্তনের জন্য মাত্র নয় বছর বয়সে তাকে সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় বৌদ্ধ মঠে। সন্ন্যাসী জীবনে ইতি টেনে বর্তমানে তিনি একজন মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। তিনিই প্রথম তিব্বতি রূপান্তরকামী যিনি মডেল হিসাবে নিজেকে তুলে ধরলেন।
তবে তিব্বতের মতো ছোট সম্প্রদায় থেকে এই কাজ করা মোটেই সহজ ছিল না তেনজিনের পক্ষে। এক সংবাদমাধ্যমকে তেনজিন বলেছেন, ‘একদিন সকালে উঠে আমি ভাবলাম রূপান্তরকামী হব, আর হয়ে গেলাম ব্যাপারটা মোটেই সে রকম ছিল না। আর্থিক ও সামাজিক বিভিন্ন বাধা পার করে আমি আজ এখানে।’
২০১৪ সালে নিজেকে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। সে সময় মেয়েদের পোশাক পরে তার নাচের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তারপরই মঠের সন্ন্যাসী জীবন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০১৫ সালে রূপান্তর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে শল্য চিকিৎসার সাহায্য নেন তিনি।
পরিপূর্ণ মডেল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর মানুষ ফলো করছেন তাকে। ভারত ও তিব্বতের মানুষের কাছে তো বটেই, প্রচুর রূপান্তরকামীর কাছে তেনজিন মারিকো হয়ে উঠেছেন নতুন উদাহরণ। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।