বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে শুরু হয়ে এ অভিযান চলছে। জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ও তৌহিদুর রহমানের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক র্যাব-পুলিশসহ ১০টি সংস্থার প্রতিনিধিরা।
নগরীর সদরঘাটের লাইটারেজ জেটি এলাকায় শুরু হয় অভিযান। প্রথম দফায় সদরঘাট, মাঝির ঘাট হয়ে বারিকবিল্ডিং এলাকা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এই এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা রয়েছে। প্রথম ধাপে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে মোট ১০ একর জায়গা উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বেলা ১টায় উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন ডিসি মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন। তিনি বলেন, উচ্ছেদ শুরুর পর থেকে হুমকি পাচ্ছি, তবে এসব হুমকিকে আমরা পরোয়া করিনা। নদী দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলতেই থাকবে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার দুই বছরের বেশি সময় পর কর্ণফুলীর দুই তীরে প্রায় দুই হাজার ৫০০ সরকারি-বেসরকারি অবৈধ স্থাপনার এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
সবমিলিয়ে এই দফায় ২০০’র মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে রয়েছে বিআইডব্লিউটিসিসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার স্থাপনা। উচ্ছেদে কাজ করছে ১০০ শ্রমিক। সদরঘাট সাম্পানচালক আয় সমিতির স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে অভিযানের শুরু হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আরও কাজ করছে সিটি করপোরেশন, সিডিএ, ফায়ার সার্ভিস সাভির্স ও কণর্ফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৫ সালের জরিপে কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত তিন বছরে স্থাপনা আরও বেড়েছে। দ্বিতীয় দফায় বারিকবিল্ডিং থেকে পতেঙ্গা পর্যণÍ এবং শেষে চাক্তাই থেকে মেহরা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।