পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা : এশিয়ার বৃহৎ কাগজ কল কর্ণফুলী পেপার মিলস নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও বয়সের ভারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বর্তমান এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিত্র) এমডি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে।
জানা গেছে যে, মিলের উৎপাদন পূর্বের তুলনায় হ্রাস পেয়ে বর্তমানে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ১৮/২২ টন, যা মিলের জন্য অসংনি সংকেত। অথচ ২২০০ টন চিপস বাঁশকেন্দ্রে অব্যাহত অবস্থায় পড়ে আছে, যা শিগ্গিরই উৎপাদনের আওতায় না আনলে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া উচ্চমূল্যে প্রায় ১৮ হাজার ৩শ’ টাকা প্রতিটন লবণ ক্রয় করার পরও নি¤œমানের লবণ সরবরাহকারী কর্র্তৃক সরবরাহ না করে ১৫ দিন যাবৎ সিসি প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় মিলের সার্বিক উৎপাদন থুবড়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যে লবণের সবনি¤œ দর ১৫ হাজার ৭শ’ টাকা করার পরও উক্ত সরবরাহকারীকে কার্যাদেশ না দিয়ে ব্যবস্থাপানা কর্তৃপক্ষ বেশি দামে আগের সরবরাহকারীর নিকট থেকে লবণ ক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ মার্চ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে দশ টন ব্যবহার অনুযোগী কাগজ উৎপাদন করে, যা বাজারজাত করে কেপিএমের সুনাম ক্ষুণœ করে মিল বন্ধের অপচেষ্টা করার সামিল বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগপত্রে।
এদিকে, কর্ণফুলী পেপার মিলস সিবিত্র সভাপতি তৌহিদ আল মাহবুব চৌধুরী বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ও গ্র্যাচুয়িটি ফান্ডের তহবিল পুনর্গঠন করে মাসিক কর্তনকৃত টাকা সঠিকভাবে জমার ব্যবস্থা করতে হবে। উৎপাদন প্রতিদিন ৭০/৮০ টনে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, তিন মাসের অগ্রীম কাঁচামাল মজুদ নিশ্চিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে মিলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত অভিযোগের কোনো ভিত্তি বা সত্যতা নেই। যদি সত্যতা থাকতো তা হলে অভিযোগ প্রমাণ আকারে দেওয়া হত। মিলের উৎপাদন শুধু দেখবাল মিল কর্তৃপক্ষের একার নয়, সকলের দায়িত্ব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।